#অসহায়_ভালোবাসা
#সূচনা_পর্ব
#নাবিলা_নূর
গল্প নিয়ে কিছু কথা
((আগেই বলে রাখছি গল্পটি ক্রাইম, থ্রিলার, পলিটিকাল, রোম্যান্স জেনরার। এটি একটি টক্সিক লাভ স্টোরি। যারা রাগী কিংবা ডেস্পারেট হিরো পছন্দ করেন গল্পটা শুধু তাদের জন্য। যারা টক্সিক, ভায়োলেন্স, ফিকশনাল কাহিনী নিতে পারেন না তাদের জন্য গল্পটি নয়। যাদের কাছে গল্প মানে শুধু কল্পনা গল্পটা তাদের জন্য। গল্পটি প্রাপ্ত মনস্ক এবং মুক্তমানের জন্য প্রযোজ্য। আর একটা কথা ইন ফিউচার গল্পটি কাজিন রিলেটেড প্লটেও যুক্ত হবে। ধৈর্য্য সহকারে প্রতিটি পর্ব পড়লে বুঝতে পারবেন মেইন প্লট কী।))
কপি করা নিষিদ্ধ।
*
*
*
*
নিস্তব্ধ পরিবেশ। শুকনো পাতার উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। পায়ের তলায় মর্মর শব্দে ভাঙছে পাতারা। অশান্ত বাতাসে ঝরাপাতাগুলো উড়ছে এদিক ওদিক। চারপাশে যতদূর চোখ যায় ততদূর জঙ্গল আর জঙ্গল, যেন কোনো গোলকধাঁধায় আটকে পড়েছি। ধরিত্রীর বুকে ঘড়িতে এখন ৫:৪১. যত সময় যাচ্ছে তত ধরণীর চারদিকে নেমে আসছে পাতালপুরীর মতো অন্ধকার। জায়গাটা যতটা মনোমুগ্ধকর ততটাই যেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছে সময়ের সাপেক্ষে। মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা ভীতগ্ৰস্ত সওাটা যেন জীবন্ত হয়ে ওঠছে। সামনে যত এগোচ্ছি ততই মনে হচ্ছে আশেপাশের বিচিত্র দেখতে গাছগুলো চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে জানান দিচ্ছে মৃত্যু সন্নিকটে।
প্রতিবছর গ্ৰীষ্মের ছুটিতে কলেজ থেকে একটা ট্যুর দেওয়া হয়। এই বছর চতুর্থ বর্ষের স্টুডেন্টরা এসেছিল এই ট্যুরে। সকাল থেকে দুপুর অবদি সবাই একসাথে ছিল। কিন্তু দুপুরের পরে ভুলক্রমে কয়েকজন স্টুডেন্ট আলাদা হয়ে যায়। এতক্ষণে হয়তো বাকি স্টুডেন্টরা রিসোর্টে ফেরত চলে গেছে। এদিকে এই অপরিচিত জায়গায় আটকে রইল কিছু স্টুডেন্ট।
কলেজের নামিদামি ক্যাম্পাসের তুখোর ডেঞ্জারাস গ্যাং! নাম — ” ইন্টেলিজেন্ট ” সবাই একনামে চিনে এই গ্যাং-কে। এরা যেমন পরোপকারী তেমনি ভয়ঙ্কর। চারজন মেয়ে আর চারজন ছেলের সম্মেলনে তৈরি ” lNTELLIGENT GANG ” মূলত এই গ্যাং-ই দুপুরের পর থেকে আটকে রয়েছে গহীন জঙ্গলে।
নাযিকা আহমেদ, বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে । যেমন টাকা তেমন অহংকার। ক্যাম্পাসের কেউ চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতা রাখে না। তাহমিদ আল আরমান ,সানফ্রান্সিসকো শহরের নামকরা বিজনেস ম্যান এর আদরের ছেলে। ওয়াহিদা তাবাসসুম তন্নি, দেশের নামকরা ডাক্তার মোহাম্মদ সোলায়মান এবং ফরিদা তাবাসসুম এর মেয়ে। জিনিয়া নূর, মা মরা মেয়ে। বাবা তার নতুন সংসারে ব্যস্ততম দিন কাটাচ্ছে। একজন সফল বিজনেস ম্যান হয়েও একটি বারের জন্য মেয়ের খোঁজ নেয় না। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া বিরাট সাম্রাজ্য এখন তার দখলে। আরোরা শিকদার, দ্যা মোস্ট বিউটিফুল গার্ল অন দিস ক্যাম্পাস। সৌন্দর্যে যার স্থান রয়েছে ঊর্ধ্বে। নাহিদ শিকদার, আসিফ হাসান এরাও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। লাস্ট বাট নট অন দিস লিস্ট। দ্যা গ্যাং লিডার আবরার জিহাদ, দেশের নামকরা বিজনেস ম্যান এর একমাত্র ছেলে।
আমরা গত চার ঘন্টা ধরে হেঁটেই যাচ্ছি কিন্ত এখান থেকে বের হওয়ার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। পুরো জঙ্গলটাই এখন গোলকধাঁধা মনে হচ্ছে। পথচলা যেখান থেকে শুরু করছি সমাপ্তি ও সেখানেই হচ্ছে। যদি দুটি টিম বানিয়ে আলাদা হয়ে বের হওয়ার রাস্তা খুজি তাহলে হয়তো এখান থেকে বের হওয়া যেত। কিন্তু তাও সম্ভব নয়। পরে এক টিম অন্য টিমকে খুজে না পেলে ঘটবে আরেক বিপত্তি। জায়গাটা নেটওয়ার্ক বিহীন হওয়ায় কোথাও যোগাযোগ করতে পারছি না। সামনে কিছু দূর যেতেই তন্নি অতি উল্লাসে চিৎকার করে ওঠলো। তন্নির চিৎকার শুনে সবাই থমকে দাঁড়াল। তন্নি বা দিকে নিজের ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বললে,
~ পেয়েছি সন্ধান, এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুজে পেয়েছি।
তন্নির ইশারা করা আঙ্গুল অনুসরণ করে দেখতে পেলাম আমাদের থেকে ঠিক বা দিকের কিছুটা দূরে কিছু লাইট জ্বলছে। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম ওখানে পাঁচটি কালো গাড়ি দাঁড় করানো রয়েছে। গাড়িগুলোর হেডলাইট গুলো জ্বালানো অবস্থায় রয়েছে। হয়তো আমরা জঙ্গলের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। গাড়িগুলো বোধহয় রাস্তায় দাঁড় করানো রয়েছে। আমরা সবাই ঐদিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। ওখানে গিয়ে হয়তো রিসোর্টে ফিরে যাওয়ার জন্য সাহায্য পাওয়া যাবে। তন্নি ওখানে সবার আগে পৌছায় আমরা ওর পেছনে ছিলাম। তন্নি এক পলক দৃষ্টি তুলে তাকাল গাড়িগুলোর দিকে তারপর বুক ধুকধুক করা ঊর্ধশ্বাসে মৃদু চিৎকার দিয়ে ডাকল বাকিদের,
~ স-ব-বা-ই তাড়াতাড়ি আয়।
আমরা সবাই জায়গাটাই পৌছালাম। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে সামনে কি হচ্ছে তা স্পষ্ট দেখা গেলেও সামনে থেকে আমাদের দেখা যাবে না কারণ এখন আমাদের অবস্থান কিছু ঝোপঝাড়ের পেছনে। সামনের কর্মকাণ্ড দেখে জিনিয়া আতঙ্কে বিকট শব্দে চিৎকার দিতেই নাযিকা জিনিয়ার মুখ তার দুহাত দিয়ে চেপে ধরলো যাতে সামনে যারা আছে তারা অন্য কারো উপস্থিতি টের না পায়। আটজনের চোখে এখন শুধু একটাই দৃশ্য ভাসছে। সামনে গোল করে সাইকেল আকারে দুরত্ব নিয়ে পাঁচটি কালো গাড়ি দাঁড় করানো। গাড়ি দিয়ে বানানো সাইকেলটাই মুখে মাস্ক লাগানো কিছু লোক একটি লোকেকে হকিস্টিক দিয়ে বেদম ভাবে মারছে।সবার মাথার উপরে অ্যাডজাস্টেবল হেড লাইট লাগানো। লোকটির হাত পা দড়ি দিয়ে বাধাঁনো, মুখে ডাকট্ টেপ লাগানো। লোকটিকে হকিস্টিক দিয়ে নির্মম ভাবে মারার ফলে লোকটির সারা শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। গাড়িগুলোর মধ্যে ঠিক মাঝখানের গাড়িটাই একটি লোক গাড়ির ডিস্কে পা তুলে বসে আছে। পড়নে তার একটি কালো রঙের হুডি যা সর্বাঙ্গ ঢেকে রেখেছে। মুখে মাস্ক লাগানোর ফলে চেহারার চোখ বাদে অন্য কোনো অংশ উন্মুক্ত নয়। হাতে রয়েছে একটি ধারালো নাইফ, বাম হাতে নাইফটি ধরে ডান হাত দিয়ে অনবরত মনোযোগ সহকারে নাইফের ধারালো অংশটি স্লাইড করছে। দৃষ্টি তার সামনে মার খাওয়া লোকটির উপর আবদ্ধ। হয়তো গাড়িতে থাকা হুডিওয়ালা লোকটি এই লোকগুলোর বস হবে। হঠাৎ হুডিওয়ালা লোকটি এক লাফে গাড়ির ডিস্ক থেকে মাটিতে নামল। হাতে থাকা ধারালো নাইফটি নিয়ে এগিয়ে গেল এতক্ষণ যাবৎ নির্যাতিত হওয়া লোকটির দিকে। লোকটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েক সেকেন্ড আধমরা লোকটির দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,
~ ইউর গেইম ইজ ফিনিশ।
কথাটা শেষ করে এক সেকেন্ড ও দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ধারালো নাইফটি দিয়ে একটানে লোকটির হাত পায়ের রগ গুলো কেটে ফেললো, গলগল করে ব্লাড ব্লিডিং হচ্ছে। লোকটি গলা কাটা মুরগির মতো ছটফট করছে। এরকম ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে পুরো শরীর তরতর করে কাঁপছিল, ভয়ে আতঙ্কে শরীরের প্রতিটি পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এই ভয়ঙ্কর বীভৎস খুনের দৃশ্যটা দেখে জিনিয়া উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে ওঠলো। কোনো মেয়েলি চিৎকার শুনে মাস্কপড়ুয়া লোকগুলো আশেপাশে নজর বুলাতে ব্যস্ত। মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনে বিপদের সংকেত পৌছাতেই সবাই দৌড়াতে শুরু করলাম। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কিছু লোক আমাদের দেখে পেলে তৎক্ষণাৎ তারাও আমাদের পিছু নেয়। এখন সবাই প্রাণ হাতে নিয়ে পালাচ্ছি, ধরা পড়লেই মৃত্যু নিশ্চিত। হঠাৎ করে একটি লোক বিশ্রীভাবে হুংকার দিয়ে হাতে থাকা হকিস্টিকটি ছুড়ে মারলো আমাদের দিকে। হকিস্টিকটি ঠিক আরোরোর মাথায় এসে লাগলো, সাথে সাথে উপুড় হয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো মাটিতে। জায়গাটা কিছুটা কর্দমাক্ত হওয়ায় সারা মুখ নিমিষেই কাদায় মাখামাখি হয়ে গেল। মাথায় আঘাত পাওয়া স্থান থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পড়নের সাদা গাউনটি নিমিষেই রক্তে রাঙা হয়ে গেছে। গ্যাং এর সবাই নিজেদের দৌড়ানোর ডিরেকশন চেঞ্জ করে উল্টোপথে তেড়ে আসলো মাটিতে অর্ধজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়েটির দিকে। জিনিয়া আরোরার মাথাটা কোলে নিয়ে আঘাত পাওয়া স্থানটি নিজের ওরনা দিয়ে চেপে ধরলো এবং কাঁদতে কাঁদতে বললো,
~ অরু এই অরু চোখ খোলা রাখ , চোখ বন্ধ করিস না।
নাহিদ ধরা গলায় বললো,
~ বো-বো-নু তোর কিছু হবে না। আমরা তোকে হ-স-পি-টা-লে নিয়ে যাব।
আবরার স্তব্ধ হয়ে ঠাই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার দৃষ্টি মাটিতে পড়ে থাকা কর্দমাক্ত রূপসীর মুখপানে।গ্যাং এর সবাই ভীত চেহারা নিয়ে তাকিয়ে আছে মুখে মাস্ক লাগানো লোকগুলোর দিকে কেননা তারা পুরো গ্যাং এখন এই লোকগুলোর কবলে রয়েছে। মাস্কপড়ুয়া লোকগুলো থেকে একজন জিজ্ঞেস করলো,
~ তোরা কারা, এখানে কি করছিস ? কি দেখেছিস বল ?
আবরার লোকটির দিকে কঠিন চাহনি নিক্ষেপ করে দৃঢ় গলায় বললো,
~ আমরা কলেজ স্টুডেন্ট, এই জঙ্গলে ট্যুরে এসেছি আর আমরা কিছুই দেখিনি।
মাটিতে পড়ে থাকা মেয়েটির দিকে কাঁপতে থাকা তর্জনী আঙ্গুলটি তাক করে ধরালো গলায় বললো,
~ অ-সু-স্থ, প্র-চুর ব্লিডিং হচ্ছে। হ-স-পি-টা-লে নিয়ে যেতে হবে।
~ পাগল পেয়েছিস,এই সময় এখানে কি করছিস ? কিছু না দেখলে চিৎকার কেন করলি ?
নাহিদ এবার হাত জোড় করে কাকুতি মিনতি করে বললো,
~ প্লীজ, আপনারা যা বলবেন তাই করবো। ওকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।
মাস্কপড়ুয়া লোকগুলোর হাতে বন্দুক, হকিস্টিক দেখে গ্যাং এর সবার ভয়ে আতঙ্কে নাজেহাল অবস্থা। জিনিয়া আর তন্নি উচ্চস্বরে কাঁদতে লাগল। সেকেন্ডের মাঝে শান্ত পরিবেশটা কেমন যেন গুমোট রূপ ধারণ করলো।
হঠাৎ কোনো আগন্তকের আগমনে অশান্ত পরিবেশটা চোখের পলকে নিমিষেই শান্ত হয়ে গেল। গ্যাং এর সবাই চোখে মুখে একরাশ আগ্ৰহ নিয়ে তাকিয়ে আছে হুডিওয়ালা লোকটির দিকে।গ্যাং এর সবার দিকে একপলক তাকিয়ে হুডিওয়ালা লোকটি মাটিতে অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকাল।হুডিওয়ালা লোকটির তীক্ষ্ণ চাহনি দেখে ভয়েরা আরো জেঁকে বসলো সবার মনে। একটি লোক হুডিওয়ালা লোকটির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,
~ বস! এরা স্টুডেন্ট , জঙ্গলে নাকি ট্যুরে এসেছ।
আজকে হয়তো আমাদের পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। জীবনযুদ্ধে এখানেই হার মানতে হবে। এরা এত সহজে কাউকে ছাড়বে না। এদের দেখে মনে হচ্ছে এরা কোনো সন্ত্রাসী গ্যাং। কারণ এইরকম ইউনিক ভাবে কাউকে মারা কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সবার চিন্তাভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে হুডিওয়ালা লোকটি গম্ভীরস্বরে আদেশ করলেন,
~ এদের সবাইকে হসপিটালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা কর।
লোকটির কথা শুনে সবাই চরম আশ্চর্যিত সাথে অবাকও বটে। কারণ আমরা সবাই ভেবেছিলাম আমাদের সাথে কোনো খারাপ কিছু ঘটবে। অসুস্থ অরুকে দেখে নিজ দায়িত্বে হসপিটালে পৌঁছে দিচ্ছে। ব্যাপারটা কারো কাছে সুবিধার লাগলো না। এই মুহূর্তে এত কিছু ভাবার সময় নেই। যতদ্রুত সম্ভব অরুকে নিয়ে হসপিটালে পৌছাতে হবে। তাই ব্যাপারটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামালো না। লোকটির কথামতো আমাদের জন্য দুটি গাড়ির ব্যবস্থা করা হলো। নাহিদ অরুকে গাড়ি অবদি কোলে করে নিয়ে গেল। গাড়ি দুটি ছুটলো হসপিটালের গন্তব্যে।
~ ভাই ওদের কি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হলো। কোনোভাবে
যদি ওরা মুখ খুলে তাহলে।
কথাগুলোর বিপরীতে তৎক্ষণাৎ জবাব এলো হুডিওয়ালা লোকটির,
~ জানামতে ওরা স্টুডেন্ট। যাকে মেরেছি তার কিংবা আমাদের কারো মুখ দেখেছে ওরা, তাহলে কিসের ভিত্তিতে মুখ খুলবে।
একটু থেমে আবার বললো,
~ লাশটাকে তার ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়ে আয় আর গাড়ির ব্যবস্থা কর ফিরতে হবে।
কথাগুলো শেষ করে দুই কদম এগিয়ে যেই জায়গাটা প্রস্থান করবে হঠাৎই তার চোখ দুটো আটকে রইল শুকনো পাতার উপরে।সে পকেট থেকে ফোন বের করে ফ্ল্যাশ লাইট অন করে দেখলো শুকনো পাতাগুলোর উপরে একটি ডায়েরি পড়ে রয়েছে। সে একটু নিচের দিকে ঝুঁকে ডায়েরিটা হাতে নিল। ডায়েরিটা হাতে নিতেই দেখল ডায়েরিটার উপরে ইংরেজি বড় হরফে লেখা রয়েছে — REVENGE DIARY.
চলবে………..
#নোটবার্তা:- এই উপন্যাসটি আমার প্রথম কাঁচা হাতের লেখা। কোনো ভুল ক্রটি হলে ক্ষমার নজরে দেখবেন।
যদি কোনো টাইপিং মিস্টেক নজরে আসে তাহলে অবশ্যই জানাবেন, আমি যথাসাধ্য শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।