...

কানাওয়ালা

 

সম্পূর্ণ পর্ব

#লেখক_আনোয়ার_হোসেন

 

সময়টা তখন শীতকাল। গ্রামের বাড়িতে শীতকালে আমরা খড়খুটা দিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে, সবাই মিলে একসাথে আগুন পোহাই। এক সন্ধ্যা বেলা শীতের মধ্যে কিছু খড় দিয়ে আগুন ধরাই। তাতে কয়েকজন বসে আগুন পোহাচ্ছি। আমরা মোট পাঁচজন আগুন পোহাচ্ছি। শিমুল,করিম,তাহের আমার এক ছোট কাকা ও আমি। শীতের দিনে আগুন পোহানোর মজা গ্রামের মানুষই ভালো জানবে। আগুন পোহাচ্ছি হঠাৎই আমাদের দলে পাশের বাড়ির মিরাজও যোগ দেয়। মিরাজ এসেই বলতে থাকে, কিরে তোর কাকা আজ তোদের বাড়ি না এসে কোথায় যেন যাচ্ছে। মানে আমার কাকা একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সে প্রায় রাতেই দেরি করে বাড়ি ফিরে।

 

তো মিরাজ বলছে কিরে তোর কাকা আজ বাড়িতে না এসে বিলের দিকে যাচ্ছে কেন? আমরা সবাই অবাক হই। আরে কাকা তো কোনোদিন বিলে যায় না। আর তাছাড়া এখন তো রাত। এই রাতের বেলা কাকা বিলে যাবে কেন! তখন কাকি বলে তোমার কাকা তো কোনোদিন বিলে যায় না। তোমরা একটু গিয়ে দেখোতো কোথায় যাচ্ছে! কাকির কথা শুনে আমরা সবাই উঠে পরি। সবাই বিলের দিকে যেতে থাকি। চারিদিকে এতো বেশি কুয়াশা পরছে,কাকা কোন দিকে গেছে সেটা বোঝার উপায় নেই। কুয়াশা বেশি পরার কারনে সামনের কোনো জিনিসই দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কাকাকে কিভাবে দেখা যাবে। আমরা সবাই কাকাকে খুঁজতে থাকি। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

একসময় আমরা কাকার নাম ধরে ডাকতে থাকি। কিন্তু কোথাও কাকার সাড়া পাচ্ছি না। আমি আবারো ডাক দেই। কিন্তু এবারো কোনো সাড়া পাইনা। এভাবে আমরা সবাই আশেপাশে সব জায়গায় খুজঁতে থাকি।চারিদিকে এতো বেশি কুয়াশা পরছে। যে কোথাও কিছু দেখা যাচ্ছে না। একসময় আমরা হাটতে হাটতে সেই বিশাল মাঠের মাঝামাঝি চলে যায়। আমরা খেয়াল করি সেখানে কয়েকটা ডোবার পাশে কাকার একটি জোতা পরে আছে। এটা দেখে আমি তাদেরকে ডাক দেই। আবারো সবাই একসাথে হয়ে কাকাকে ডাকতে থাকি। এখনো কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আরেকটু সামনে এগোতেই দেখি, একটি ডোবার পানি অনবরত নড়েই চলছে। মানে ডোবার পানি অনবরত নড়ছে।

 

আমরা সবাই সেখানেই গিয়ে থেমে যায়। আরে এখানে পানি নড়ছে কেন! তাহের বলছে এটা খারাপ কিছু হতে পারে। শিমুল বলে হতে পারে এটা অন্য কিছু। তাদের বলি নারে,যেহেতু কাকার জোতা এখানেই পাওয়া গেছে। কাকা হয়তো এখানেই আশেপাশে কোথাও আছে। এটা বলে আমি একটা বাশের লাঠি নিয়ে সেই পানিতে বার বার স্পর্শ করতে থাকি। ঠিক তখনই পানি থেকে কাকার দেহ ভেসে উঠে। এ কি!!! কাকা তো পানির নিচে ডুবে আছে। সবাই ভয় পেয়ে যাই। শীতের মধ্যে কেউই পানিতে নেমে, পানি থেকে কাকাকে তুলতে সাহস পাচ্ছে না। কাকা তুমি এই লাঠিতে ধরে রাখো আমরা তোমাকে টেনে তুলছি। এই বলে আমরা কাকাকে পানি থেকে উপরে তুলে নিয়ে আসি। তার পুরো শরীর ভেজা।বেচারা থরথর কাঁপছে। এতো ঠান্ডা কাপবেই বা না কেন। তাকে ধরাধরি করে আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।

 

 

তারপর গরম পানি দিয়ে তাকে গোসল করানো হয়। যখন কাকা একটু সুস্থ হয়। তখন আমরা সবাই জিগ্যেস করি,আচ্ছা তুমি এই রাতের বেলা শীতের মধ্যে বাড়িতে না এসে সেই বিলের মাঝখানে গিয়েছিলে কেন? তখন কাকা বলে আমি তো বাড়ির পথেই হাটছিলাম। অনেক্ষন পর হাটার পরেও আমি বাড়ি পর্যন্ত আসতে পারিনি। এরপর হঠাৎই আমার শরীর ঠান্ডা পানিতে তলিয়ে যায়। তারপর আর আমার কিছু মনে নেই। তখন কাকাকে পাশের এলাকার এক হুজুরের থেকে পানি পড়া খাওয়ানো হয়। সে তো এসব বিশ্বাসই করে না। পানি না খেতে চাইলে জোর করে তাকে পানি খাওয়ানো হয়। কিছুদিন পর,আমি, তাহের,শিমুল ও করিম আমরা সবাই পাশের একটি নিকটস্থ বাজারে যাই। সেখানে যাত্রাপালা শুরু হয়। যাত্রাপালা দেখতে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আসে।

 

আমরা যাত্রাপালা দেখা শেষে সবাই একসাথে বাড়ি ফিরতেছি। পথিমধ্যে আমরা একজন বৃদ্ধা মহিলাকে দেখতে পায়। মহিলাটি একটি ভাঙ্গা লাঠিতে ভর দিয়ে সামনের দিকে হেটে যাওয়ার চেষ্টা করছে। হঠাৎই লাঠির ভাঙ্গা অংশটি ফসকে গিয়ে বৃদ্ধা মহিলাটি মাটিতে পরে যায়। আমরা মহিলাটিকে তোলার জন্য দৌড়ে সেখানে যাই। কোনোরকমে সে উঠে দাড়ায়। তখনই মহিলাটি আবারো পরে যায়। এবার মহিলাটি রাস্তা থেকে গড়াতে গড়াতে নিচে পানিভর্তি একটি ডুবার মধ্যে পরে যায়। সবাই ভয় পেয়ে যায়। সর্বনাশ আমাদের চোখের সামনে একটা জলজ্যান্ত মানুষ পানিতে পরে গেল। আমরা কিছুই করতে পারলাম না। আমরা কেউই কনকনে শীতে ঠান্ডা পানিতে নামার সাহস পাচ্ছি না।

 

কি করবো কিছুই বুজতে পারছি না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও দেখি মিহিলাটি পানি থেকে উঠে আসেনি। মনে হচ্ছে মহিলাটি ডুবেই গেছে। কিছুক্ষণ পানিতে বুদবুদ ভাসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পানির নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে যায়।আমরা সবাই নির্বিকার হয়ে কিছুক্ষণ সেখানে দাড়িয়ে রইলাম। শিমুলকে বলি চলনা মহিলাটিকে তুলতে পারি কিনা চেষ্টা করে দেখি। তাহের পাশে পরে থাকা একটি লম্বা বাশ নিয়ে করিমের হাতে দেয়। করিম বলে তোরা আমাকে শক্ত করে ধর। আমি বাশ দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছি। দেখি বৃদ্ধা মহিলাটিকে পাই কিনা। এই বলে সে রাস্তার একটু সাইডে দাড়িয়ে পরে। তার এক হাতে আমরা সবাই ধরি,আরেক হাত দিয়ে সে বাশটি নিয়ে পানিতে বৃদ্ধামহিলেটিকে খোঁজার চেষ্টা করে।

 

কিছুক্ষণ এভাবে খোঁজার পর সে বুজতে পারে এখানে কিছুই নেই। কিন্তু কিছুক্ষণ আগেও তো আমরা সবাই এখানে একটা বৃদ্ধা মহিলাকে দেখেছি। মহিলাটির হাতে থাকা লাঠির ভাঙ্গা টুকরাটি এখনো মাটিতে পরে আছে। হঠাৎই পানির নিচ থেকে করিমের হাতে থাকা বাঁশটি কিছু একটা টেনে ধরে। এটা দেখে করিম বলে এই রে, মনে হচ্ছে মহিলাটি বাশটিতে ধরেছে। আমরা সবাই কৌতূহল নিয়ে করিমকে শক্ত করে ধরে টানতে লাগলাম। যেভাবেই হোক মহিলাটিকে পানি থেকে তুলতে হবে। এতো শক্তি দিয়ে সবাই টানছি কিন্তু কোনোভাবেই সেটিকে উপরে তোলা যাচ্ছে না।

 

একসময় আমরা সব শক্তি দিয়ে বাঁশটি সহ করিমকে এমন জুরে টান দেই। তখনই আমরা সবাই রাস্তার পাশে সিটকে পরি। সবাই উঠে দাড়ায়। দেখি বাশের মধ্যে একটা ভয়ানক কালো হাত ও কিছু চুল উঠে এসেছে। এটা দেখামাত্রই আমরা সবাই যে যার মতো দৌড়াতে লাগলাম। কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর আমি খেয়াল করি ,যে আমি অনেক্ষন যাবত দৌড়াচ্ছি, কিন্তু বাড়ি পৌছাতে পারছি না। এতক্ষণে তো আমার বাড়ি চলে যাবার কথা। তবে কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারপাশ তাই রাতের বেলা হেঁটেই চলছি। একসময় আমি খেয়াল করি সামনে একটা বিশাল বড় বটগাছ। বটগাছটি দেখে আমি থমকে দাড়ায়। আরে এ আমি কোথায় এলাম!!! আমার বাড়ি ফেরার পথে তো কোনো বটগাছ ছিল না। আর এ বটগাছটি তো আমি কোনোদিন দেখিনি।

 

আমি পথ ঘুরে আবারো উল্টো পথে হাটতে লাগলাম।কিছুক্ষণ আমি খেয়াল করি, আমার পড়নের কাপড় চোপরা হালকা ভেজা ভেজা লাগছে। কিছুই বুজতে পারছি না কিভাবে আমার পোষাক ভিজে গেল। কিছুক্ষণ হেটে আমি সামনের বাঁশঝাড়টার কাছে যেতেই খেয়াল করি আমি পানিতে হাটতেছি। আমার প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতো ঠান্ডা লাগছে যে কারনে আমি আমি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসি। মানে আমার তখন হুষ আসে। খেয়াল করে দেখি, আমি একটা পুরনো পুকুরে নেমে পরেছি। আস্তে আস্তে সেই পুকুরের মাঝখানে যাচ্ছি। সাথে সাথেই আমি থেমে যায়। সর্বনাশ! !আমি এ কোথায় এলাম।

 

তখনি আমার চোখ যায় পুকুরের মাঝখানে,দেখি সেখানে একটা ভয়ানক দেখতে কি যেন পানিতে ভেসে আছে। সেটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে আমি ভয়ে পুকুর থেকে উঠে যায়। দৌড়ে একসময় বাড়িতে ফিরি। তারপর সবাই আমাকে জিগ্যেস করে, কিরে তুই এতোক্ষণ কোথায় ছিলি? তোকে তো আমরা সবাই খুজঁতে খুজঁতে হয়রান হয়ে পরেছি। তোর বাড়ি ফিরতে এতো দেরি হলো কেন? তখন আমি তাদেরকে সবকিছু খুলে বলি। এটা শুনে তারা ভয় পেয়ে যায়। সর্বনাশ তুই বলিস কি! তোর কোনো ক্ষতি হয়নি তো? আমি বলি না আমি ঠিক আছি। তবে আমি ভয়ানক ভেসে থাকা জিনিসটা দেখে খুবই ভয় পেয়েছি। তারপর সেদিন রাতে আমাকে গরম পানি দিয়ে গোসল করানো হয়। আমার সারা শরীর থেকে বিজলে জাতীয় পিচ্ছিল একধরনের তরল কিছু বের হয়।

 

এরপর আমাকে কয়েকবার আগুনের উপর দিয়ে যাওয়া লাগে। একজনের কথায় আমাকে কচুপাতার পানি পান করায়। আমিও কচু পাতায় করে পানি পান করি। এসব করলে নাকি শরীরে ভর করে থাকা খারাপ কিছু সরে যায়। আর ক্ষতির আশংকা থাকে না। পরদিন আমি স্কুলে একজন বৃদ্ধলোকের সাথে কথা বলে জানতে পারি,এটা নাকি কানাওয়ালা। মানে রাতের বেলা আমি পথ ভূলে অন্য কোথাও চলে গিয়েছিলাম, সেটা নাকি কানাওয়ালার কাজ। আমাকে নাকি কানাওয়ালা ভর করেছিল। এটা শুনে আমি জিগ্যেস করি, আচ্ছা কানাওয়ালাকে কি দেখা যায়?বৃদ্ধ লোকটি জবাবে না বলে। লোকটিকে বলি, তাহলে আমি যে পুকুরের পানিতে ভয়ানক কিছু একটা দেখেছিলাম।

 

এটা শুনে লোকটি বলে এটা তোমার ভ্রম। তোমার মনের ভূল। অতিরিক্ত ভয়ের কারনে তখন তুমি চোখের সামনে ভয়ানক অনেক কিছুই দেখতে পাবে। তখন তিনি বলতে থাকে,গ্রামাঞ্চলে একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, রাতের বেলা বা ভর দুপুর বেলা কোন মানুষকে একা পেলে (অনেক সময় গভীর রাতে একাধিক লোক হলেও) পথ চলার সময় এক ধরনের বদ জ্বিন আছর করে মানুষকে কৌশলে পথ ভুলিয়ে দেয়। তার স্মৃতির বিভ্রাট ঘটিয়ে তাকে পথ ভুলা বানিয়ে দেয়। তখন ঐ লোক বা লোকেরা অতি চেনা পথও আর চিনতে পারে না। তখন সে এ্যালোপাথারি পথ হাটতে থাকে। আর চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।

 

এটা শুনে আমি অবাক দৃষ্টিতে লোকটির দিকে তাকিয়ে থাকি। সে লোকটি আরো বলে, দুষ্ট জ্বিনেরা ঐ পথিককে পথ হাটাতে হাটাতে ক্লান্ত করে ফেলে। বেশির ভাগ সময় ঐ লোকটাকে কোনো বিল, বড় পুকুর বা দিঘির পানিতে নামিয়ে মে,রে ফেলে। আর যে কানাওয়ালার পাল্লায় পরে, তখন সে কিছুই বুঝতে না পেরে পানিতে নেমে যায়। কানাওয়ালা হচ্ছে ঐ বদ জ্বিন, শয়তান বা ভূত। আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য লোক পাওয়া যাবে যাদেরকে জীবনে একবারের জন্য হলেও কানাওয়ালায় ধরেছে। লোকটি বলে বেশির ভাগ সময় রাতের বেলা হারিকেন, ভূইত্ত্যা/মুইট্রা( মুটিবদ্ধ বা গোবর দিয়ে বানানো পাট কাঠি একত্র করে বেঁধে আগুন ধরানো মাধ্যমে বাতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।) সেটা জ্বালিয়ে বিল বা খালে মাছ ধরতে গেলে এই কানাওয়ালায় ধরে থাকে।

 

কারও কারও মতে কানাওয়ালা হচ্ছে মৎস শিকারী এক ধরনের বদজ্বিন। এটাকে অনেক এলাকায় মাইছ্যা শয়তান বা কেউ পিশাচ বলে। তবে দিক ভূলে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াটাকেই মূলত কানাওয়ালায় ধরা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তখন আমি চাচাকে মানে লোকটিকে জিগ্যেস করি আচ্ছা শুনেছি তখন নাকি পরনে কাপড় থাকলে, সেটাকে নাকি উল্টো করে পরলে কানাওয়ালা ছেড়ে দেয়। আর লুঙ্গিতে গিট বা বেধে ফেললে কানাওয়ালা ধরে না। তখন লোকটি বলে হ্যাঁ এটা গ্রামের অনেকেই বিশ্বাস করে তবে সেই সময়, মানে কানাওয়ালা ধরা অবস্থায় তুমি দোয়া দুরুদ পাঠ করার চেষ্টা করবে। সৃষ্টকর্তার নাম নিবে। পাকপবিত্র থাকলে তোমাকে কানাওয়ালা মানে বদজ্বিন কিছুই করতে পারবে না। লোকটির কথা শেষ হতে না হতেই সে বলে উঠলো যাই আজান হয়েছে নামাজ পরতে হবে। এই বলে লোকটি চলে যায়। আমি এসব ভাবতে ভাবতে অবাক দৃষ্টিতে লোকটির চলে যাওয়া দেখি।

 

সমাপ্ত।

 

গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে,তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটা কমেন্টই ভৌতিক গল্পকে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহীত করবে।আর একটা কথা ,আপনার আশেপাশে পরিচিত যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ করে।তাদেরকে ভৌতিক গল্পে আমন্ত্রন করে গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।যাতে তারাও গল্পগুলো পড়তে পারে।সবাইকে ভৌতিক গল্পের বেপারে জানান ও ভৌতিক গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।

 

#ভূতের_গল্প #কানাওয়ালা #rp9 #ভূতেরগল্প #highlightseveryone #foryoupageシ #কানাওয়ালা_গল্পের_লিংক #rpambg9 #আনোয়ারহোসেন #ভূতেরভয়ংকরগল্প

#virals #foryou #foryourpage #horrorstory #bhoothfm #bhoot #horror_story #ghost #কানাওয়ালা_ভৌতিক_গল্প #viralposts #লেখকআনোয়ারহোসে #viralpage #viralpost

Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.