...

ভয়ংকর বাঁশঝাড় | প্রথম পর্ব | ভূতের গল্প

ভয়ংকর বাঁশঝাড়
প্রথম পর্ব
#লেখক_আনোয়ার_হোসেন

আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। চারপাশে কেমন যেন অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি বৃষ্টি শুরু হবে। সবাই যার যার মতো করে বাড়িতে ফিরছে। মাঝেমধ্যে আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বাড়ির কৃষাণী মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়িতে ফিরছে। ছেলে মেয়েগুলো খেলা করে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎই বৃষ্টি শুরু হয়। আর বৃষ্টি শুরু হতেই তিনজন ছেলে দৌড়ে একটা বাঁশঝাড়ের নিচে গিয়ে দাঁড়ায়। তারা তিনজনই একই কলেজের ছাত্র। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। তিনজনের মধ্যে ফাহিম হচ্ছে এই গল্পের প্রধান চরিত্র। তার সাথে সাব্বির ও রিকসান আছে। আশেপাশে কোনো ঘরবাড়ি না থাকায় তারা বাঁশঝাড়ের নিচটাই গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তারা জানেও না যে এই মুহুর্তে তারা যেই বাঁশঝাড়ের নিচে আছে, সেখানে কি আছে। কেননা তারা এসবে অলৌকিক বিষয়ে বিশ্বাস করে না। সাব্বির বলে এই ফাহিম লোকে তো এই বাঁশঝাড় নিয়ে নানান কথা বলে বেড়ায়। অনেকে তো বলে এই বাঁশঝাড়ে নাকি ভূত আছে। ভূতের কথা শুনতেই রিকসান ভয় পেয়ে যায়। কেননা সে খুবই ভিতু।
রিকসান বলে ভাই না ভালা, তোরা এসব ভূতের আলাপ একদমই করবি না। জানিসই তো আমি ভূতকে ভয় পাই। ফাহিম ও সাব্বির হাসতে থাকে। আরে বেটা বয়স তো আর কম হলো না। এই পর্যন্ত কয়টা ভূত দেখেছিস? রিকসান বলে ভাই তোরা যাই বলিস না কেন, ভূত কিন্তু আছে। আর সেটা সবাইকে দেখা দেয় না। সাব্বির জবাবে বলে তাহলে তুই ভূতকে না দেখেই এতো ভয় পাস। আর যদি একটা ভূতের দেখা পেয়ে যাস তাহলে তো তোকে এই এলাকায় খুঁজেও পাওয়া যাবে না। রিকসান বলে ভাই তোরা আমার সাথে ভূতের বেপার নিয়ে একদমই মজা করবি না বললাম। সাব্বির বলে ভূত তো কেবল মুভি ও গল্পে থাকে। রিকসান তাদের থামিয়ে বলে চুপ কর! দুজনেই সাথে সাথেই চুপ হয়ে যায়। রিকসান মুখে একটা আঙ্গুল চেপে বলে চু্্্প! এখানে কিছু একটা আছে। আর সেটা আমাদেরকে দেখছে।
ফাহিম হাসতে হাসতে বলা আরে বেটা তুই কি আমাদেরকে ছোট বাচ্চা পেয়েছিস নাকি? যে তুই বললি আর আমরা তা বিশ্বাস করে নিলাম। রিকসান তাকে থামিয়ে বলে চুপ! আমি কিছু একটা শুনতে পাচ্ছি। আমি যে আওয়াজে শুনতে পাচ্ছি। তা কি তোরা দুজনেও শুনতে পাচ্ছিস? জবাবে সাব্বির বলে তোর এই ভূত হলো আমার জুতার নিচে। আর তোর ভূতটা আমার জুতার নিচে ঠিক এইভাবে আওয়াজ করছে। রিকসান খেয়াল করে সাব্বির এতোক্ষন জুতা দিয়ে আওয়াজটি করেছিল। রিকসান তাকে বলে দেখ ভাই তোকে না বলেছি আমার সামনে এভাবে মজা করবি না। আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম। ফাহিম বলে বেটা পুরুষ মানুষের আবার কিসের ভয় ! তাছাড়া তোর সাথে আমরা দুজন আছি তো।
ততক্ষণে বৃষ্টির পানি তাদের গায়ে এসে পরছে। এখন তাদের ভিজা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তখন আবারো সেই আওয়াজটি হয়। এইবারও রিকসান বলে তোরা কি আওয়াজটি শুনতে পাচ্ছিস? জবাবে ফাহিম বলে ঘোড়ার ডিম। এটা তো আমি জুতা দিয়ে ঘসে আওয়াজ করছি। এই দেখ তোর ভূত আমার জুতার তলায়। এটা শুনে রিকসান বলে বেটা আমি ভয় পাই বলে তোরা এমনটা করছিস। যদি আমি সাহসী হতাম না তাহলে তোদেরকে সবসময়ই ভয় দেখাতাম। ফাহিম বলে হয়েছে হয়েছে তুই কিরকম সাহসী হতি তা আমাদের জানা আছে। বেটা এতো বড় হয়েছিস এখনো তুই রাতের বেলা লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাস। আর ওয়াশরুমে গেলেও সাথে কাওকে নিয়ে যাস। আর তাকে ওয়াশরুমের বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে বলিস। আমার তো এটা ভেবে ভয় হচ্ছে, তোর বউ বউটা যদি তোর মতোই ভিতু হয় তাহলে তো হলোই।
আর তখনই সেই আওয়াজটি শোনা যায়। এইবারও রিকসান বলতে থাকে এই তোরা কি আওয়াজটি শুনতে পাচ্ছিস? ফাহিম ভাবে আরে হয়তো এইবার রিকসান নিজেই জুতা ঘসে আওয়াজটি করছে। সাব্বিরও তাই ভাবে। কিন্তু পরক্ষণেই তারা খেয়াল করে রিকসান তো স্থির দাঁড়িয়ে আছে। সে পা নড়াচ্ছে না। তাহলা আওয়াজটি আসছে কোথা থেকে। তারা তিনজনই অবাক হয়ে যায়। রিকসান বলে এই তোরা এইবার তো আওয়াজটি শুনলি! ফাহিম খেয়াল করে এখনো আওয়াজটি হচ্ছে। সে সাব্বিরকে বলে এখানে তো আমরা তিনজন আছি। আমাদের সাথে আর কেউই নেই। তাহলে এখন কা আওয়াজ করছে। রিকসান বলে ভূত! ভূতে আওয়াজ করছে। এটা বলে সে ভয় পেয়ে যায়। এখানে আমরা তিনজন ছাড়া কেউ নাই। যেহেতু আমরা কেউই কোনো আওয়াজ করছি না। তাহলে নিশ্চয়ই এটা ভূত হবে।
এটা বলে সে দৌড় দিতে যাবে অমনি সে দেখে পাশেই একটা গাছের আড়ালে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। রিকসান ভয়ে আবারো তাদের তাছে চলে আসে। সে বলতে থাকে ভূত ! ফাহিম জিজ্ঞেস করে কোথায় ভূত ? রিকসান হাত উঁচু করে বলে ঐ গাছের আড়ালে ভূত আছে। সাব্বির ও ফাহিম সেদিকে যেতে থাকে। রিকসান তাদেরকে সেখানে যেতে বার বার নিষেধ করে। কিন্তু তারা কোনো কথা শুনে না। ফাহিম সেখানে যেতেই গাছের আড়াল থেকে সুন্দরী একটি মেয়ে বের হয়ে আসে। তাকে দেখামাত্রই রিকসান ভয়ে মাটিতে পরে যায়। ফাহিম মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকে। সে বলে আরে জেরিন তুই এসময় এখানে? জেরিন বলে হ্যাঁ আমি তোর অপেক্ষা করতে করতে এখানে চলে এসেছি। ভাবলাম এখন তুই বাড়িতে ফিরছিস। তাই আমিও চলে আসলাম। রিকসান বলে এটা নিশ্চয়ই ভূত হবে। কেননা একটা মেয়ে এই বৃষ্টির সময় এখানে একা কি করবে! তখন জেরিন বলে এইমাত্র আমি গাছের আড়াল থেকে জুতা দিয়ে আওয়াজ করেছি।
রিকসান বলে বাঁচা গেল। আমি তো ভেবেছিলাম এ নিশ্চিত একটা ভূত হবে। ফাহিম বলে তোকে না কতো করে বলেছি আমার পিছে এভাবে পরে থাকবি না। জেরিন বলে ফাহিম তুই কোনোদিনই আমার মনের কথাটা বুঝবি না? তুই কি কিছুই বুঝিস না, আমি সবসময়ই কেন তোর পিছু ঘুরি। ফাহিমের এক জবাব না আমি বুঝতে চাই না। সাব্বির বলে আরে এ তো আমাদের ভাবি। তা চল এখানে বৃষ্টিতে না ভিজে বাড়িতে চল। একথা বলে সাব্বির ও রিকসান সেখান থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। এদিকে তখনো তারা দুজন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। জেরিন ফাহিমকে বলে, এই তোর মধ্যে কি হৃদয় নেই? আমি তোর কাছে কি চাই সেটা তুই বুঝিস না। ফাহিম বলে না আমার কোনো হৃদয় নেই। তখনই আকাশে বিকট আওয়াজে বজ্রপাত হয়। জেরিন তো সেই আওয়াজ শুনে দ্রুত গিয়ে ফাহিমকে জড়িয়ে ধরে। ফাহিম বলে আরে এই মেয়ে তুই করছিস কি! ছাড় আমাকে।
এই কি হলো তোর? জেরিন বলে ছারবো না তোকে। দেখছিস না বজ্রপাত হয়েছে। আমার ভয় করে। তাইতো তোকে জড়িয়ে ধরেছি। একসময় তারা সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরে। তারা খানিকটা পথ যেতেই সেই বাঁশঝাড়ে সবগুলো বাঁশ অস্বাভাবিক ভাবে নড়তে থাকে। মনে হচ্ছে কোনো অদৃশ্য শক্তি সেখানে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। তারা বাড়ি পৌছাতে পৌছাতে পুরোপুরি ভাবে ভিজে যায়। ফাহিম কোনোকিছু না বলে বাড়িতে চলে যায়। এদিকে জেরিন তার কাছে কোনো পাত্তা না পেয়ে সেও মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে যায়। আর ভেজা শরীরে বাড়ি ফেরায় তার মা তাকে অনেক ব’কে। এতো বড় হয়েছিস, এখনো জ্ঞান বুদ্ধি কিছু হলো না দেখছি। এই সময় তোর বাড়িতে থাকার কথা। কোথায় গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে এসেছিস। দেখ মা তুই মেয়ে মানুষ। তুই যদি এভাবে যখন তখন বাহিরে চলে যাস লোকে কি বলবে!
তোকে তো ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়েও দিতে হবে নাকি। যদি তুই সবসময়ই এরকম করিস তাহলে তোকে কে বিয়ে করবে? জেরিন বলে মা আমি এখন ভালো মন্দ বুঝতে পারি। কোনটা ভালো আর মন্দ তা বোঝার বয়স আমার হয়েছে। আমাকে নিয়ে তোমরা এতো ভেবো না তো। তার মা বলে দেখ মা সন্তান যতোই বড় হোক, মায়ের কাছে সে সবসময়ই সেই ছোট্ট থেকে যায়। তোর বাবা জানলে তোকে কি করবে জানিস? জানি মা, বাবা তো খালি পারে শাসন করতে। তাছাড়া বাবা কোনদিন আমাকে আদর করে কাছে ডেকে দুইটা কথাও বলেনি। ঠিক আছে তুই এখন পড়তে বস। জেরিন বলে মা আমি পড়বো না। আমার পড়তে একদমই ভালো লাগে না। তার মা বলে মা জেরিন এসব বলতে নেই আর জানিস তো পড়ালেখা ছাড়া কোনো মূল্য নেই। মা শোনো আমার এসব পড়ালেখা একদমই ভালো লাগে না। একথা বলেই সে পোশাক প”রিবর্তন করতে পাশের রুমে চলে যায়।
এদিকে ফাহিম বাড়িতে পৌছাতেই তার মা বলে বাবারে বৃষ্টিতে ভিজে আসলি কেন! কোথাও দাঁড়ালেই তো পারতি। ফাহিম বলে মা আমি তো দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঐ যে পাশের খোলা মাঠের পাশে যে বাঁশঝাড়টা আছে না, সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বৃষ্টি বেশি হওয়াতে ভিজতে হয়েছে। ঠিক আছে তুই গোসল করে আয়। ফাহিম গোসল সেড়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে বসে। তখন তার মা বলে বাবা ফাহিম কথাটা তোকে বলতে চাইনি তবুও বলতে হচ্ছে। তুই জানিসই তো ঐ বাঁশঝাড়টা ভালো না। সেখানে খারাপ কিছু বিচরন করে। ফাহিম বলে মা এসব তো লোকমুখে শোনা কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি কিছু দেখেছে? জবাবে তার মা বলে দেখ বাবা লোকমুখে যা শোনা যাচ্ছে, তা কি আর এমনি এমনিই ছড়িয়েছে। তোকে আমি আবারো বলছি। ভূলেও সেই বাঁশঝাড়ের নিচে যাবি না।
দিনশেষে যখন সন্ধা নেমে আসে। তখন মা বলে ফাহিম একটু বাজার থেকে আয় তো। ঘরে পান সুপারি নেই। আর আসার সময় কিছু গুড় নিয়ে আসিস। ফাহিম বলে ঠিক আছে মা আমি যাচ্ছি বলেই সে তার ঘরে থাকা বাই-সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরে। সেই বাঁশঝাড়ের পাশ দিয়েই বাজারে যাওয়া লাগে। সে যখনই বাঁশঝাড়টা অতিক্রম করছিল, তখন তার কিছুটা ভয় কাজ করছিল। সে ভয়ে ভয়ে বাঁশঝাড়ের পাশ কাটিয়ে বাজারে যায়। সেখানে গিয়ে পান-সুপারি ও গুড় কিনে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। হাতে থাকা ফোনে টর্চের আলোতে সামনে এগোচ্ছে। সে যতোই বাঁশঝাড়ের কাছে যাচ্ছে ততোই সে ভয় পাচ্ছে। যদিও সে এসব ভূত প্রেত বিশ্বাস করে না। তবুও সে কিছুটা ভয় পাচ্ছে। সে যখনই বাঁশঝাড়ের নিচে যায়। আচমকা বাঁশঝাড়ে ঝড়ো হাওয়া বয়তে থাকে।
সে ভয়ে ভয়ে দ্রুত এই জায়গাটা ত্যাগ করতে যায়। কিন্তু তখনই বাঁশঝাড় থেকে কিছু একটা তার দিকেই আসে। কিন্তু সে বুঝতে পারে এটা তার মনের ভূল ছিল। কিন্তু পরক্ষণেই সে বুঝতে পারে তার সাইকেলের পেছনে কেউ একজন বসে আছে। সে ভয় পেয়ে যায়। যদিও সে কোনোদিন এসব অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পরেনি। তারপরও আজ তার সাথে যা ঘটছে তাতে সে ভয় পেয়ে যায়। সে লোকমুখে অনেক শুনেছে, পেছন থেকে কাউ ডাকলে বা কিছু আন্দাজ করতে পারলে পেছনে তাকানো যাবে না। আর পেছনে তাকালেই বিপদ। তাই সে পেছনে না তাকিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে। সে সাইকেল নিয়ে কোনোমতেই সামনে যেতে পারছে না। অনেক কষ্টে কিছুটা গেলেও তার কাছে মনে হচ্ছে ভারী কিছু একটা তার সাইকেলের পেছনে ধরে রেখেছে। ফাহিম তার ঘাড়ে কারো নিঃশ্বাস ফেলার অনুভূতি উপলব্ধি করে।
সে ভয়ে ভয়ে দোয়া দুরূদ যা জেনে তা পড়তে থাকে। একসময় সে বাঁশঝাড় থেকে অনেকটাই দূরে চলে আসে। তবুও তার কাছে সাইকেলটি ভারি মনে হচ্ছে। আর তখনই সে খেয়াল করে রাস্তার সামনে একপাশ থেকে সাব্বির হেটে তার দিকে আসছে। এটা দেখে সে সাব্বিরকে ডাক দেয়। সাব্বির তার কাছে এসে বলতে থাকে কিরে বেটা ইদানিং তাহলে ডুবে ডুবে ভালোই প্রেম করছিস। ফাহিম সাব্বিরের কথা কিছুই বুঝতে পারছে না। সে জিগ্যেস করে তুই এসব কি বলছিস! আমি আবার কবে প্রেমে পরলাম। সাব্বির ফাহিমের কানে কানে বলে প্রেমে না পরলে কি এই রাতের বেলা জেরিনকে সাইকেলে নিয়ে ঘুরছিস! সাব্বিরের মুখে এটা শোনা মাত্রই ফাহিম পেছন ফিরে তাকায়। আর পেছনে ফিরে তাকাতেই সে যা দেখে, তা দেখার পর তার চোখ কপালে উঠে যায়। সে খুবই অবাক হয় সাথে অনেক ভয়ও পায়। কেননা এখন তার সাইকেলের পেছনে জেরিন বসে আছে। ফাহিম তো এটা দেখে ভয় পেয়ে সাইকেল ফেলে সেখান থেকে দৌড়ে পালাতে থাকে। ফাহিমের পিছু পিছু সাব্বিরও দৌড়ায়।

চলবে…

Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.