সম্পূর্ণ পর্ব
#লেখক_আনোয়ার_হোসেন
ঘরিতে রাত ৯:০০টা বাজে। আকাশে চাঁদ উঠেছে। আহা গ্রামের বাড়ির উঠোনে,চাঁদনি রাতে সবাই একসাথে পাটিতে বসে। গল্প করতে বেশ ভালো লাগে। সবাই মিলে পাটিতে বসে গল্প করছি। আমি, মা, পাশের বাড়ির আন্টি ও চাচাতো বোন সবাই একসাথে বসে গল্প করছি। তখন আমার বয়স কতোই বা হবে। সবে তো চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। রাতের বেলা সবাই একসাথে বসে আছি। আমি সবার মাঝখানে বসেছি। কিছুটা ভয় ও লাগছে। সবার গল্প শুনি। আশেপাশে গাছের একটু নড়াচড়াতে খানিক ভয়ও পেয়ে যায়। হঠাৎই গাছে কিছু নড়তে দেখলেই চমকে গিয়ে সেদিকে তাকাই। কি নড়ছে গাছে এটা! নিশ্চয়ই কোন পাখি হবে হয়তো। নয়তো কি! মনের মধ্যে একটু একটু ভয়ও কাজ করছে।
আমি সবার মাঝখানে বসেছি তো তাই ভয় একটু কমই লাগছে। কিছুদিন পরে বর্ষাকাল তখন সারাদিন বৃষ্টি আর বৃষ্টি। দুদিন পর আমি সন্ধার সময়টাতে খাটে শুয়ে আছি। মা দরজার কাছে এসে বলে এই সিফাত একটু দেখে যা তো বাবা। কিছুক্ষণ পর আমি খাট থেকে নেমে যাই ও মাকে খুজতে থাকি। দেখি মা রান্নাঘরে রান্না করছে। মাকে জিগ্যেস করি,মা তুমি তখন আমাকে ডেকেছিলে কেন? মা বলে কই নাতো ! আমি তো তোকে ডাকিনি। আমি অবাক হয়ে যায় ! মা যদি আমাকে না ডেকে থাকে,তাহলে তখন কে আমাকে ডেকেছিল। আমাদের পুকুর ভর্তি মাছে ভরপুর। রাতের বেলা পুকুরে জাল ফেলে রাখা হয়। তাতে জালে অনেক মাছ ধরা পরে। এক রাতে আমি মার সাথে জাল টেনে মাছ ধরার জন্য বের হই।
আমি মার সাথে হাটতেছি। একসময় আমরা জালের কাছে চলে যায়। জাল টানতেই কিছু ছোট মাছ ধরা পরে। আমার চোখ যায় পুকুরের মাঝখানে। হঠাৎই দেখি পুকুরের পানিতে কি যেন সমানে সাতরাচ্ছে। এটা দেখার পর আমি পুকুরের পানিতে ভালো করে তাকিয়ে থাকি। দেখি একটা বাচ্ছা, ছোট বাচ্ছা মাঝরাতে এই পুকুরের পানিতে সাতরাচ্ছে। এটা দেখে খুবই ভয় পাই। মাকে বলার পর, মা বলে এটা কোনো বাচ্চা নয়। এটা হলো হাস। এটা রাতের হাস। এসব হাস রাতে অন্য জায়গা থেকে উড়ে আসে। পুকুরে মাছ খায়। আমি মায়ের কথাটা বিশ্বাস করিনি। কারন কিছুক্ষণ আগেইতো আমি একটা বাচ্ছাকে পুকুরের পানিতে সাতার কাটতে দেখেছি। আমি যাতে ভয় না পাই, হয়তো সেজন্য মা আমাকে হাসের গল্প শোনাচ্ছে। আমরা আর এক মুহুর্ত দেরি না করে তারাতারি সেখান থেকে রুমে চলে আসি।
Best Bangla Golpo | Bhooter Golpo | Horror Story | vuter golpo | ভূতের গল্প
রুমে এসেও আমি শুনতে পাই, পুরো পুকুর জুড়েই কি যেন সাতার কাটছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টির মধ্যে আমার কেমন যেন ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। কাথাটা ভালো ভাবে গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পরি। রাতে গভীর ঘুমে মগ্ন। হঠাৎই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ভালো করে খেয়াল করে দেখি,আমার গায়ের কাথাটা আমার গায়ে নেই।দেখি কাথাটা বিছানার পাশে মাটিতে পরে আছে। আমার কাছে কেমন যেন মনে হচ্ছে ঘরের ভেতর কোনো অশরীরী আছে। আমি অস্বাভাবিক কিছুর উপস্থিতি টের পাচ্ছি। মনে হচ্ছে কেউ আমাকে দেখছে। আমি কাথাটি নিয়ে গায়ে জড়িয়ে আবারো ঘুমিয়ে পরি।
পরদিন সকালে দেখি পাশের বাড়ি থেকে এক কাকি এসেছে। তিনি বলছে,গতরাতে নাকি তাদের বাড়ির পুকুরে একটি বাচ্চা সাতার কেটেছে। এটা শুনে কাকির কাছে যাই। আচ্ছা কাকি, আপনি যে বাচ্চাটিকে দেখেছেন, সেটি দেখতে কেমন ছিল? কাকি বলে তা তো আমি বাচ্চাটিকে দেখিনি। তবে বাচ্চার মতো কিছু একটা মাঝরাতে পুকুরে সাতার কাটতে দেখেছি। আমি সেখান থেকে চলে যায়। পরদিন রাতের বেলা আমি ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎই শুনি আমাদের পুকুরের পানিতে কি যেন প্রচন্ড আওয়াজ করে সাতার কাটছে। অনেক্ষণ হয়ে গেল সাতরানোর আওয়াজ যেন থামছেই না। একটা সময় পাশের ঘর থেকে কে যেন বের হয়।
রুমের জানালাটা হালকামতো খুলে দেখি,পাশের ঘরের কাকা পুকুরের দিকেই যাচ্ছে। আমি তখনো জানালার দ্বারে, পুকুরের দিকে তাকিয়ে আছি। দেখি কাকা পুকুরে কি যেন ঢিল ছুড়ে মারলো। কাকা যখনই পুকুরে ঢিল ছুড়ে মারে , সাথে সাথে পুকুরে সাতরানোর আওয়াজটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি দেখতে পাই পুকুর থেকে ভয়ানক দেখতে কালো ও লাল রঙের মতো কি যেন একটা উঠে আসে। এটা দেখে কাকা অনেক ভয় পায়। সে একটা চিৎকার দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে।আর তখনই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ওহ্ স্বপ্ন ছিল এটা ভাবতেই আমি শুনি আমাদের ঘরের ঠিক পাশেই একটা বাচ্চা কান্না করছে। এতো রাতে ঘরের বাহিরে বাচ্চার কান্না! এটাতো স্বাভাবিক কিছু না। আমি ভয় পেয়ে যাই। বাচ্চাটি এক নাগারে কান্না করেই চলছে। মানে কয়েক মাস বয়সের বাচ্চার কান্না যেমন, ঠিক সেরকমভাবে কান্না করছে।
আমি ভয়ে কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। আচ্ছা আম্মুকে ডাকা ঠিক হবে? যদি বাচ্চার কান্নাটা থেমে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই বাচ্চার কান্নাটা থেমে যায়। আমি খেয়াল করি, এখন আর বাচ্চার কান্নাটি আমার কানে আর আসছে না।কি ভয়ানক একটা বেপার! এতো রাতে ঘরের বাহিরে বাচ্চার কান্না। কার ভয় না লাগবে। একসময় আমি নাকমুখে কাথা দিয়ে ঢেকে ঘুমিয়ে পরি। এরপর অনেকদিন কেটে যায়। আমাদের সাথে তেমন কিছু হয়নি। এভাবে কয়েক বছরছ কেটে যায় তখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি।সময়টা তখন শীতকাল। আমরা সবাই রাতের বেলা বেডমিন্টন খেলি। পাড়ার কয়েকটা ছেলেকে বলে রাখি আমরা সবাই আজ রাতে বেডমিন্টন খেলব।
কথামতো সবাই এলেও ফাহিম নামের ছেলেটি এলো না। আমরা খেলতে থাকি। একটা সময় দেখি আমাদের থেকে একটু দূরে ফাহিমকে দেখা যাচ্ছে। আমরা খেলা বিরতি রেখে ফাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকি। আরে এই রাতের বেলা ফাহিম এভাবে কোথায় হেটে যাচ্ছে! আমরা কয়েকজন মিলে ফাহিমের পিছু নিই। দেখি ফাহিম সামনের দিকে হেঁটেই যাচ্ছে। আমি খেয়াল করি ফাহিমের সামনে সাদা কাপড় পরিহিত কি যেন একটা হেটে যাচ্ছে। আর ফাহিম সেই অবয়ব টির পিছন পিছন হেটে যাচ্ছে। আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে বলতে থাকি,কিরে এতো রাতে ফাহিম কার পিছু নিয়েছে। আর ফাহিম যাচ্ছে কোথায়! আমরা জুর আওয়াজে ফাহিমকে ডাকতে থাকি। হঠাৎই দেখি সাদা অবয়বটি অদৃশ্য হয়ে গেছে। মানে আমাদের কথা বলার আওয়াজ পেয়ে সাদা অবয়ব টি সেখানেই অদৃশ্য হয়ে যায়। ততক্ষণে ফাহিম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সে বলতে থাকে আমি এখানে কিভাবে এসেছি!
Best Bangla Golpo | Vuter Golpo | জাদুর কাঠি
আমরা সবাই ফাহিমকে জিগ্যেস করি, তুই কার পিছু নিয়েছিলি? ফাহিম বলে সে নাকি,তার পরিচিত কারো ডাকে সেটার পিছু নিয়েছিল। ফাহিমের মুখা একথা শুনে সবাই খুব অবাক হয়। আজ হয়তো আমাদের জন্য ফাহিম বেঁচে ফিরেছে। সেদিন রাতে আনুমানিক দুইটা বাজে। হঠাৎই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখি পাশের রুম থেকে দাদু আমার রুমে এসে আমার খাটের সামনে দাড়িয়ে আছে। অদ্ভুত দাদুর চাহনি। দাদু চোখ দুইটা বড় করে তাকিয়ে আছে। আমি দাদুকে দেখে অবাক হয়। কারন দাদু তো পেরালাইজড হয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঘরে পরে আছে। তাহলে আমার রুমে এতো রাতে দাদু কিভাবে আসলো ! এটা ভেবে খুবই ভয় পাই। একটা সময় দেখি দাদু আমার দিকে হেটে আসছে। ভয়ানক চাহনি নিয়ে দাদু যেই না আমাকে ধরতেই যাবে। অমনি আমি ভয় পেয়ে কাথা দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে ফেলি।
কিছুক্ষণ পর মনে হয়, যেন দাদু আমার কাথা ধরে টানছে..আমি ভয়ে ভয়ে দোয়া দুরুদ পাঠ করতে থাকি। একসময় পুরো কাথাটি আমার গা থেকে সরে যায়। আর তখনি আমি চিৎকার দেই। তাকিয়ে দেখি আমার ঠিক সামনেই বাবা দাড়িয়ে আছে। বাবার হাতে একটা টর্চলাইট। বাবাকে জিগ্যেস করি, তুমি আবার কখন এলে? বাবা বলে তোর চিৎকার শুনেই তো আমি এসেছি। কিছুক্ষণ যাবত তুই ভয়ে চিৎকার করছিস। তাই তোর চিৎকারের আওয়াজ শুনেই তো আমি এসেছি। বাবা বলে সব কিছু না। তুই ভয় পাবি না। আমি বলি বাবা আমি এখানে কিছুক্ষণ আগে দাদুকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি। দাদু ভয়ানকভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। এমনকি দাদু হেটে আমার কাছে এসেছিল। বাবা এটা শুনে বলে সবই তোর মনের ভূল। ঐ যে দেখ পাশের রুমে তো তোর দাদু ঘুমিয়ে আছে।
বাবা আামাকে যতসয় অভয় দেওয়ার চেষ্টা করুক আমি কিন্তু সত্যি অনেক ভয় পেয়েছি। দাদু তো হাটতেই পারে না। তাহলে কি ছিল ঐটা। যা আমি কিছুক্ষণ আগে দেখলাম।আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বাবা পাশের রুমে চলে যায়। আমি ভয়ে ভয়ে শুয়ে পরি ও একসময় ঘুমিয়ে পরি। পরদিন আমি এলাকার সমবয়সীদের সাথে এ বেপারে কথা বললে ,তারা সবাই আমার কথা শুনে হেসে উড়িয়ে দেয়। আমি রাগান্বিত হয়ে সেখান থেকে চলে আসি। সন্ধাবেলা আমি পুকুরপাড়ে বসে পুকুরের পানিতে একটা একটা করে ঢিল ছুরে মারতে থাকি। এভাবে অনেকটা সময় কেটে যায়। হঠাৎই আমার চোখ যায় পুকুরের পানিতে। দেখি পুকুরের পানিতে সমানে বুদবুদ দেখা যাচ্ছে। সাহস করে কিছুক্ষণ সেখানে দাড়িয়ে থাকি। হঠাৎই সেখানে একগোছা লম্বা চুল ভেসে উঠে। যা দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। চুলগুলো আস্তে আস্তে আমার দিকে আসছে।প্রায় আমার পায়ের কাছেইই এসে পরে চুলগুলো। তখনই আমি সেখান থেকে উঠে পরি। ভয় পেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়িতে চলে আসি।
ইদানিং আমি খুব ভয়ে ভয়ে দিন পার করছি। কি হচ্ছে আমার সাথে এসব। আর কারো সাথে কেন কিছু ঘটছে না। আমি কিছুই বুজতে পারছি না। একদিন পলাশ নামে আমার এক বন্ধু বলে,তার এক মামা আছে। যে এসব বিষয়ে সব কিছু বিশ্লেষন করে বলে দিতে পারে। তিনি অনেক পরহেজগার মানষ। আমি তাকে বলি তাহলে আমাকে তোর মামার কাছে নিয়ে চল। পলাশ বলে ঠিক আছে চল। দুজনেই তার মামা বাড়ি যায়। গিয়ে দেখি তার মামা বাড়িতে নেই। বেচারা নামাজ পড়তে গেছে।আমরা দুজন কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। একসময় পলাশের মামা আসে। হাতে একটা তসবিহ। আমি ওনাকে সালাম দেই। তার মামা আমাকে বসতে বলে। কি জন্য এসেছো! পলাশ বলে মামা ও আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার সাথে ইদানিং খারাপ কিছু ঘটছে। কিন্তু কোনো সমাধান করা যাচ্ছে না। তুমি একটু তার কথা শুনো। দেখো তো কিছু করা যায় কিনা।
আমি উনার কাছে সবকিছু খুলে বলি। উনি আমার সব কথা শুনে বলে তোমাদের বাড়িতে কোনো খারাপ জ্বিনের নজর পরেছে। আচ্ছা একটা কথা বলো, তোমাদের বাড়িতে কে কে থাকে? আমি বলি , বাড়িটিতে মা বাবা,দাদু ও কাকা কাকি আমেদের বসবাস। লোকটি কিছুক্ষণ ভেবে আমাকে জিগ্যেস করে, আচ্ছা তোমাদের বাড়িতে কি আর কারো সাথে কোনো ধরনের ঘঠনা ঘটেছে? জবাবে আমি না বলি। তখনি আমি বলে উঠি তবে একবার ফাহিম নামে একটা ছেলের সাথে কিছু অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছিল। ফাহিমকে তো সেই রাতে সাদা একটা অবয়ব এসে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমরা অনেকেই দেখে ফেলি। আমরা সবাই মিলে ফাহিমকে বাঁচাই।
পলাশের মামা জিগ্যেস করে আচ্ছা তোমাদের বাড়িতে কি কোনো পুরনো গাছ আাছে? আমি বলি হ্যাঁ। একটা পুরনো তেতুল গাছ আছে। তবে তেতুল গাছটি তো আমাদের বাড়ির ভেতরে নয়। পুকুর পাড়ে আছে। তার মামা আমাকে থামিয়ে বলতে থাকে,,,সেই তেতুল গাছেই কোনো সমস্যা আছে। তোমাদের বাড়ির চারপাশে পর্দার ব্েবস্থা করো। যাতে করে ঐ তেতুল গাছ থেকে তোমাদের বাড়িটি না দেখা যায়। তেতুল গাছ থেকে তোমাদের ঘর গুলো না দেখা যায়। আর তোমার বাড়ির সবাইকে ঠিক মতো নামাজকালাম পরতে বলো। তাহলেই দেখবে সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে।
পলাশের মামার কথা শেষ হলে , আমরা সেখান থেকে চলে আসি। ঐদিনই বাবাকে সাথে নিয়ে বাড়ির চারপাশে ভালো করে বেড়ার মতো করে পর্দার ব্েবস্থা করি। দেখি এখন আর তেতুল গাছটিকে দেখা যাচ্ছে না। তারপর বাড়ির সবাইকে নামাজ পড়ার জন্য বলা হয় ।এর পরে আর কোনো খারাপ কিছু হয়নি।
তবে দাদুর ঘরে মাঝেমধ্যেই কিছু একটার আওয়াজ শোনা যায়। মনে হতো দাদু কারো সাথে কথা বলছে। কিন্তু দাদু তো পেরালাইজই হয়ে পরে আছে। তাহলে দাদুর রুম থেকে কার কথা বলার আওয়াজ শোনা যায় !!! এক রাতে এশার নামাজ পরে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। পাশের এলাকার একজন আমাকে ডেকে থামায়। বলে ভাই আমাদের বাড়িতে হয়তো খারাপ কিছুর নজর পরেছে। বাড়ির সবার সাথেই খারাপ কিছু না কিছু ঘঠছেই। আমি তাকে বলি তোমাদের বাড়ির চারপাশে পর্দার ব্েবস্থা করো আর বাড়ির সবাইকে বলো ঠিকমতো নামাজ কালাম পড়তে। কিছুদিন পর কোনো কাজে পাশের এলাকায় যাই ,তখন সেই লোকটি আমার কাছে আসে। আর বলতে থাকে ভাই তোমার কথা মতো সবকিছু করেছি। লোকটি বলে এখন আমাদের বাড়ির সবাই নামাজ পরে।পর্দা করে। তাই আর খারাপ কোনো কিছু এখন ঘঠছে না। আপনি বাঁচালেন ভাই। আপনি বাঁচালেন। আমি তাকে সালাম দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।
সমাপ্ত।
মোসলমান যারা আছেন,তারা অবশ্যই নামাজ পড়বেন।
গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে,তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটা কমেন্টই ভৌতিক গল্পকে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহীত করবে।আর একটা কথা ,আপনার আশেপাশে পরিচিত যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ করে।তাদেরকে ভৌতিক গল্পে আমন্ত্রন করে গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।যাতে তারাও গল্পগুলো পড়তে পারে।সবাইকে ভৌতিক গল্পের বেপারে জানান ও ভৌতিক গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।
More Best Bangla Golpo | ভূতের গল্প | Vuter Golpo
#ভূতের_গল্প #মধ্যরাতের_ভয় #rp8 #highlightseveryone #foryoupageシ #মধ্যরাতের_ভয়_গল্পের_লিংক #rpambg8 #আনোয়ারহোসেন #ভূতেরভয়ংকরগল্প
#virals #foryou #foryourpage #horrorstory #bhoothfm #bhoot #horror_story #মধ্যরাতের_ভয়_ভৌতিক_গল্প #ghost #viralposts #viralpage #ভূতেরগল্প #লেখকআনোয়ারহোসে #ghost