...

Best Bangla Golpo 2024 | সোসাইটিতে অতৃপ্ত আত্না | Vuter Golpo | ভূতের গল্প | সম্পূর্ণ পর্ব

সোসাইটিতে অতৃপ্ত আত্না

মোঃ শিমুল ইসলাম ( MD Shimul Islam )

সোসাইটিতে অতৃপ্ত আত্না | Best Bangla Golpo 2024 | মধ্যরাতের ভয় | Vuter Golpo | ভূতের গল্প | সম্পূর্ণ পর্ব

 

শিমুল একটা সোসাইটি তে থাকে। শিমুলের সাথে তার মা-বাবা ও তার দাদু থাকে। তাদের পরিবার এই সোসাইটিতে অনেক সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। একদিন তার বাবা একটি জরুরি কাজে দেশের বাইরে চলে যায়।তিন যাওয়ার সময় বলেন যে কিছুদিনের মধ্যেই ফিরে আসবে। অতঃপর তার বাবা চলে যাওয়ার পর , তার দাদু কেমন যেন মনমরা হয়ে থাকে। একদিন তার নানি খুব অসুস্থ হয়ে পরে। তখন অসুস্থতার খবর পেয়ে শিমুলের মা তার নানিকে দেখতে সেখানে যায়। তখন বাসায় শিমুল আর আমার দাদু। তার বাবা বিদেশ চলে যাওয়ার চারদিন পর। তার মায়ের যাওয়ার একদিন পর তিন কল দিয়ে জানান যে নানি নাকি ভিষন অসুস্থ। তাই তার মা আরও কিছুদিন তার নানির কাছেই থাকবে। এইভাবে দিন যাচ্ছি। একরাতে শিমুল ও তার দাদু খাবার খেয়ে, সোফায় বসে আছে।

 

তখন দাদু শিমুলকে জিগ্যেস করে, দাদুভাই তুমি কি ভুতে বিশ্বাস করো?

 

জবাবে শিমুল বলে যে, আব্বু বলেছে ভুত বলে কিছু নেই।

 

তখন তার দাদু বলে যে, দাদুভাই এখন অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরো।

 

তখন শিমুল তার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে।

 

রাত আনুমানিক দুইটা বাজে। হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায়, সে উঠে খেয়াল করে যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। আর তাদের ফ্যাটটা হচ্ছে তিন তলাবিশিষ্ট। শিমুল বেলকনিতে গিয়ে দাড়ায়। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে সে যখন রুমে ঢুকতে যায়, ঠিক তখনই তার চোখে কিসের যেনো একটা আলো এসে পরে। সি আশেপাশে তাকিয়ে তেমন কিছুই দেখতে পায়নি। একসময় সে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে।

 

পরদিন সকালে শিমুল উঠে ফ্রেশ হয়ে দাদুকে ডাকতে গিয়ে দেখে দাদু নেই। কিছুক্ষণ ডাকার পরও তার দাদুর দেখা মেলেনি। সে এখন দাদুর রুমেই আছে। হঠাৎই তার কাছে মনে হয়, তার পেছনে কেউ দাড়িয়ে আছে !!! শিমুল পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে সেখানে তার দাদু দাড়িয়ে আছেন।

 

সে জিগ্যেস করে দাদু তুমি কোথায় গিয়েছিলে ?

 

দাদু বলে আমি তো ওয়াসরুমে ফ্রেশ হচ্ছিলাম।

 

শিমুল কোনোকিছু না বলে রুমে গিয়ে খাবার অর্ডার করে। কিছুক্ষণ পর খাবার আসলে সে তার দাদুকে নিয়ে খাবার খেয়ে স্কুলে চলে যায়। তার দাদু একা বাসায় থাকে। স্কুলে গেলে সে জানতে পারে, আজ তার বন্ধুর জন্মদিন। তাই তার বন্ধু শিমুলকে বাসায় যেতে জুড়াজুড়ি করে। শিমুল জানায়, বাসায় তার দাদু একা আছে। সে বলে নারে আমি যেতে পারবো না। তখন তার বন্ধুর অনেক রিকুয়েষ্ট করাতে সে রাজি হয়। স্কুল ছুটি হওয়ার পর সে তার দাদুকে ফোন করে সবকিছু খুলে বলে। তার দাদুও তাকে যেতে বলে। শিমুল খুব খুশি হয় ও তার বন্ধুর সাথে যাচ্ছে। তখন তার বন্ধুর মুখে সে শুনতে পারে যে সোসাইটিতে তারা থাকে, সেই সোসাইটি তৈরি করার সময় নাকি অনেক মানুষ ইটের তলে চাপা পরে মা,রা গিয়েছিল। শিমুল জিগ্যেস করে, তুই কি করে জানলি? তখন তার বন্ধু বলে সে তার বাবার কাছে শুনেছে। শিমুল তার বন্ধুর কথায় বেশি গুরুত্ব দেয়নি। একসময় সে তার বন্ধুর বাসায় গিয়ে অনেক মজা করে। এভাবেই অনেক সময় কেটে যায়। তার বন্ধু বলে, আমি ড্রাইভারকে বলে দিচ্ছি। ড্রাইভার তোকে বাসায় রেখে আসবে। যেহেতু রাত অনেক হয়েছে তাই সে বাসায় চলে আসে।

 

তাদের বাসা যেহেতু তিন তলায়। সোসাইটিতে আসার পর, সিড়ির দিকে যেতেই শিমুলের গতকালের কথাটা মনে পরে। সে তাদের বাসায় সামনের ফ্ল্যাট এর দিকে তাকিয়ে কিছু দেখতে না পেয়ে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে থাকে। আর তখন সে সিড়িতে অনেক র,ক্ত দেখতে পায়। এটা দেখে সে ভয় পেয়ে যায়। আর দৌড়ে তাদের বাসায় প্রবেশ করে। বাড়ির সবার কাছেই একটা করে চাবি ছিলো। তাই সে তারাতাড়ি বাসায় প্রবেশ করেছে। বাসায় ঢুকতেই সে দেখতে পায়, পুরো রুমজুড়েই অন্ধকার। শিমুল তার দাদুকে ডাকতেই পুরো রুমজুড়ে লাইট জ্বলে উঠে। তখন সে দেখে তার দাদু সোফার একপাশে লুকিয়ে আছে। শিমুল দাদুর কাছে গিয়ে জিগ্যেস করে, দাদু তোমার কি হয়েছে?

 

দাদু কিছুই বলছে না। সে বুঝতে পারে হয়তো দাদু কিছু দেখে ভয় পেয়েছে। শিমুল আবারো জিজ্ঞেস করে দাদু তোমার কি হয়েছে? তখনই দাদু তাকে জড়িয়ে ধরে বলে, তুমি এসেছো দাদু ভাই।

 

চিমুল বলে দাদু তোমার কি হয়েছে বলো আমাকে। তখন দাদু যা বলে তা শুনে শিমুলের চোখ কপালে উঠে যায়।

 

দাদু বলে, যে তিনি আমাদের সামনের ফ্ল্যাটের দিকে তাকায়, তখন অদ্ভুত কালো ও সাদা সাদা মানুষের মতো কি যেনো দেখেছেন। আর মানুষের মতো দেখতে সেই অবয়বগুলো দাড়িয়ে দাদুকে ডাকছিলো।

 

এ কথা শোনার পর শিমুল খুব ভয় পেয়ে যায়। তারপর কোনো রকম দাদুকে আর নিজেকে শান্ত করে। দাদুকে বলে তুমি রুমে গিয়ে শুয়ে পরো। দাদু বলে তিনি একা একা কিছুতেই ঘুমাবেন না। কারন দাদু মনে করছিলো সেই ভয়ানক জিনিস গুলো দাদুকে ধরে নিয়ে যাবে !! অতঃপর শিমুল তার দাদুর সাথে রুমে শুয়ে পরে। শিমুলের তো কিছুতেই ঘুম আসছে না। অনেকক্ষণ পর সে দেখে, দাদু ঘুমিয়ে পরেছে। এদিকে ঘুমে শিমুলের চোখ লেগেই আসে, ঠিক তখনই সে দাদুর রুম থেকে কিসের যেনো অদ্ভুত একটা আওয়াজ শুনতে পায়। সে আল্লাহর নাম নিয়ে ভয়ে ভয়ে দাদুর রুমে যায়। তখনই দাদু বলে উঠে কোথায় যাচ্ছো দাদুভাই !!!

 

শিমুল চমকে উঠে, এই তো দাদু পানি পান করতে যাচ্ছি।

 

দাদু বলে আচ্ছা যাও।

 

শিমুল পানি পান করার বাহানা করে ডাইনিং টেবিল এর কাছে যায়। এইবার তার কাছে মনে হচ্ছে ডাইনিং রুমে বেলকনিতে কিসের যেনো আওয়াজ ভেসে আসছে। সে তারাতাড়ি বেলকনিতে গিয়ে দেখে , সেখানে কেউ নেই। তারপর রুমে যাওয়ার জন্য যেইনা সে পেছনে ঘুরে , তার মনে হলো সামনের ফ্ল্যাট এ কি যেনো ছিলো। সেই ফ্ল্যাট এর দিকে তাকাতেই সে সেখানে কোনো ফ্ল্যাটই দেখতে পায়নি। এটা দেখা মাত্রই সে অবাক হয়ে ভাবতে থাকে , এতো বড় ফ্ল্যাট গায়েব হয়ে গেলো কি করে ! তাই তো তার দাদু সেখানে কালো মতো কিছু অদ্ভুত মানুষ সেখানে দাড়িয়ে ছিল। শিমুল সেদিকে ভালো করে খেয়াল করতে দেখে যে সেখানে কিছু অদ্ভুত দেখতে লোক দাড়িয়ে আছে। সবার মুখ এতো বাজেভাবে কে,টে কে,টে আছে। এটা দেখামাত্রই সে অনেক ভয় পেয়ে যায়।

 

দ্রুত সে রুমে গিয়ে শুয়ে পরে। তখন তার মনে পরে, যে তার বন্ধু বলেছিলো এই সোসাইটি তৈরি করার সময় নাকি অনেক মানুষ ইটের তলে চাপা পরে মা,রা গিয়েছিলো। সেটা ভাবতে ভাবতে একসময় সে ঘুমিয়ে পরে। পরদিন সকালে বেলকনিতে গিয়ে দেখে সেই ফ্ল্যাটটা আজও সেখানে আছে। কিন্তুু কালকে রাতে ছিলো না। তাই শিমুল রুমে গিয়ে দাদুকে সব খুলে বলে। এটা শুনে দাদু ভয় পেয়ে যায়। সেদিন আর শিমুল স্কুল এ যায়নি। কারন দাদুকে কথা গুলো বলাতে তিনি খুব ভয় পেয়ে যায়। এভাবেই দিনশেষে একসময় রাত ঘনিয়ে আসে। রাতের বেলা তারা দ্রুত শুয়ে পরে। আর একসময় তারা ঘুমিয়ে পরে। হঠাৎ। শিমুলের ঘুম ভেঙে যায়।সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে তখন রাত আনুমানিক একটার বেশি বাজে। হঠাৎই শিমুল খেয়াল করে, তার পাশে দাদু নেই। আর ঠিক তখনই সেই বেলকনি থেকে অদ্ভুত একটা আওয়াজ শোনা যায়। শিমুল দেরি না করে দৌড়ে বেলকনিতে গিয়ে দেখে , দাদু সেখানে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে।সে তারাতাড়ি দাদুকে অনেক কষ্ট করে বাসার ভেতর এ নিয়ে আসে। দাদুর মুখে পানি ছিটা দিতেই দাদুর জ্ঞান ফিরে আসে।

 

দাদু বলে যে তিনি বেলকনিতে কিসের যেনো আওয়াজ শোনতে পেয়েছিল। আর সেই আওয়াজে তিনি বেলকনিতে এসেছিলো। আর ঠিক তখনই কেউ এসে দাদুর হাত ধরে তাকে টেনে সেই ফ্ল্যাটের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই দাদু অজ্ঞান হয়ে যায়। একথা শুনে শিমুল ভয় পেয়ে যায়।সে মনে মনে ভাবে কিছুতো একটা করতেই হবে। তারপর দাদুকে কোনো রকম ঘুম পাড়িয়ে সেও ঘুমিয়ে পরে। পরদিন সে পাশের মসজিদের এক হুজুর কে নিয়ে আসে। শিমুল হুজুরকে সবকিছু খুলে বলে। তখন হুজুর তার সাথে তাদের সোসাইটি তে আসে। তারপর তিনি বললেন আমাকে ওই ফ্ল্যাট এ নিয়ে চলো।

 

শিমুল অনেক ভয়ের সাথে হুজুরকে সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। তারপট ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখে অনেক মানুষ এর লা ,শ পড়ে আছে। সেখানে তার দাদুর ও তার লাশ দেখে তারা কান্না করে। তারপর হুজুর বলে এখানে অনেক মানুষের অশরীরী আত্না আছে। তিনি শিমুলকে নিয়ে নিচে চলে যান। শিমুল দৌড়ে রুমে গিয়ে দেখে দাদু সেখানে নেই। তারপর সে বাইরে গিয়ে দেখে সেই ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে দাদু লাফ দেয়। এই দৃশ্য দেখার পর শিমুল তো কিছুই বিশ্বাস করতে পারছে না। সে ভাবে কি হচ্ছে এগুলো আমার সাথে। সেদিন দিনের বেলাই এগুলো হচ্ছিলো।

 

শিমুল দাদুর লাশ এর কাছে যাওয়ার আগেই আশে পাশের মানুষ এর ভিড় হয়। তারপর সে তার মাকে কল করে দাদুর মৃত্যুর কথা জানায়। সে তার বাবেকেও কল করে দাদুর মৃত্ুর খবরটা জানায়। একটু পর তার মা চলে আসে। শিমুলের মা তাকে জিজ্ঞেস করে, কি করে এইসব হলো? তখন পাশের বাসার অন্টি বলে যে , শিমুলের দাদু ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আ,ত্ন ,হ,ত্যা করেছে। তারপর তার মা কান্না করতে থাকে। রাতে তার বাবা আসে। তারপর দাদুকে দাফন করা হয়।শিমুল তার আব্বুকে সব খুলে বলে। তার বাবা মা কিছুতেই তার কথা বিশ্বাস করছিলো না।

 

তারপর সাবাই তাকে ঘুমাতে বলে। আর তার আব্বু আম্মুও ঘুমাতে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে আম্মু তাকে ডেকে তোলে। আর বলে তারাতাড়ি সব কিছু গুছিয়ে নিতে হবে। আর একমুহুর্ত এখানে থাকা যাবেনা। শিমুল তার আব্বুর কাছে গিয়ে জিগ্যেস করে, আব্বু আমরা কেনো চলে যাবো এইখান থেকে? তখন আব্বু বলে , তিনি নাকি সপ্নতে দেখেছে কিছু খারাপ আত্না দাদুকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। আর সপ্নতে দাদু আব্বুকে বলেছে যে শিমুল কে মানে নাকি এই বার ওই খারাপ আত্নাগুলো মেরে ফেলবে। তাই দাদু স্বপ্নতে এসে আব্বু কে বলেছে যে তোর ছেলেকে আমার দাদু ভাই কে নিয়ে অনেক দুরে কোথাও চলে যা।তারপর শিমুল সহ তার পুরো পরিবার সেখান থেকে অনেক দূরে চলে যায়।

 

সমাপ্ত।

 

গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে,তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনার একটা কমেন্টই ভৌতিক গল্পকে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহীত করবে।আর একটা কথা ,আপনার আশেপাশে পরিচিত যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ করে।তাদেরকে ভৌতিক গল্পে আমন্ত্রন করে গল্প পড়ার সুযোগ করে দিন।যাতে তারাও গল্পগুলো পড়তে পারে।সবাইকে ভৌতিক গল্পের বেপারে জানান ও ভৌতিক গল্প পড়তে উৎসাহিত করুন।

 

#ভূতের_গল্প #অশুভ_ছায়া #ভূতেরগল্প #highlightseveryone #foryoupageシ #সোসাইটিতে_অতৃপ্ত_আত্মা_লিংক #ভূতেরভয়ংকরগল্প #virals #foryou

#foryourpage #horrorstory #bhoothfm

#bhoot #horror_story #ghost #সোসাইটিতে_অতৃপ্ত_আত্মা_ভৌতিক_গল্প #viralposts #viralpage #viralpost #mdshimulislam

Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.