...

Best Bangla Golpo 2024 | Vuter Golpo | ভূতের গল্প | সম্পূর্ণ পর্ব

বাস্তব ঘটনা

#নুসরাত_জাহান

Best Bangla Golpo 2024 | মধ্যরাতের ভয় | Vuter Golpo | ভূতের গল্প | সম্পূর্ণ পর্ব

 

 

আমি নুসরাত জাহান ডাক নাম বন্যা। ঘটনাটি ঘটছে ২০১৮ সালের শেষের দিকে। সময়টা ছিল শীত কাল। আমার দুজন জন ফ্রেন্ড আছে নদী আর সুবর্ণা। আমরা ছোট বেলা থেকে ঢাকায় একই বাসায় বেড়ে উঠেছি। তাই আমাদের বন্ধুত্বটা ছোট বেলা থেকে শুরু। নদী ও সুবর্ণা স্থানীয়ভাবে ঢাকার হলেও আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল। আমি আর নদী একই ক্লাসের হলেও সুবর্ণা এক ক্লাস উপরে। শীতের ছুটি পড়তেই আম্মুকে আমার গ্রামে যাওয়ার ইচ্ছে জানাই। গ্রামে চাচাদের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকায় গত চার বছর ধরে গ্রামে যাওয়া হয়নি। গত দুই মাস আগে আমার বড় চাচি মারা যায়। এ কথা শুনেও আমার বাবা গ্রামে যাওয়ার জন্য নিষেধ করে দেয়। বাবার অভিমান বাঙানোর জন্য দাদু নিজেই আমাদের বাসায় আসে। তাই দাদুর অনেক অনুরোধের পর বাবা আর না করতে পারেনা।

 

আমাকে দাদুর সাথে গ্রামে যাওয়ার অনুমতি দেয়। আমি বিষয়টা যখন নদী ও সুবর্ণাকে বলি, তারাও আমার সাথে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে। আমিও শুনে খুব খুশি হই। কারণ গ্রামে আমার চেনা জানা কেউ নেই। নদী আর সুবর্ণা অনেক কষ্টে তাদের পরিবারকে রাজি করায়। আমরা দুইদিন পরই দাদুর সাথে রহনা হই। আমরা লঞ্চে চড়ে পরদিনই বরিশাল পৌঁছে যাই। আমাদের বাড়িটা গ্রামের সাইডে পরেছে। যাই হোক আমরা সকাল বেলা লঞ্চ থেকে নেমে বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা হই। বাড়িটা গ্রামের একদম ভিতরের দিকে হওয়ায় পথেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। মাগরিবের আজান পড়তেই আমাদেরকে দাদু একটা চায়ের দোকানে বসিয়ে নামাজ পরতে চলে যায়। দাদু আর যাই হোক কখনো নামাজ ছাড়ে না। নদী সারা পথে সেলফি ও ভিডিও তোলা কিছু বাদ রাখে নি।

 

আর সুবর্ণা বলে আচ্ছা আমাকে কি সুন্দর লাগছে একটু পর পর সাজ-গোজ শুরু করে দেয়। এদিকে রাত হয়ে আসছে। মসজিদ টা একটু দূরে হওয়ায় দাদুর আসতে একটু দেরি হচ্ছিলো। দাদু এসে জিগ্যেস করে, তোমরা সবাই আয়াতুল কুরসি পড়তে পারো? আমরা সবাই মাথা নারাই হ্যা। দাদু আমাদের পড়ার সুযোগ না দিয়েই নিজে পড়া শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আমাদের সবার গায়ে ফুঁ দিয়ে বলে। তোমরা সামনে হাটো। আমি পিছনে আসছি। আমরা ওওও আর কোন কথা না বাড়িয়ে হাঁটা শুরু করি। পথে দাদু কিছুক্ষন পর পরই দোয়া দুরদ পড়তেই থাকে। বিষয়টা আমাদের কাছে বেশ অদ্ভুত লাগে। গ্রামের বাড়ি আসলেও আমাদের কারোর মাথাই ওড়না ছিল না। তাই দাদু বলে দাদুভাইড়া তোমরা মাথাই ওড়না দাও। এতে আমরা একটু লজ্জিত বোধ করলাম।

 

আমরা জঙ্গলের পথ ধরে হাটছিলাম গ্রামে রাত আটটা নয়টা বাজলেই মনে হয় মাঝ রাত। রাস্তায় কোনো মানুষজন ও ছিল না। চারদিক থেকে নিশাচর পাখি আর হুতুম পেঁচার ডাক শোনা যায়। গা ছম-ছমে পরিবেশ। সুবর্ণা বলে আমি শুনেছি হুতুম পেঁচার ডাক নাকি অমঙ্গলের চিহ্ন। তার মুখে একথা শুনে আমরা দুজন জোরে হাসতে থাকি। আমাদের হাসি শুনে দাদু বলে তোমরা চুপ করো। কিছু দূর যেতেই হালকা ঠান্ডা বাতাস আসা শুরু করে। পাশেই ছিল একটা বিশাল জিল। আমরা সেখানে পাথর বা ঢিল জাতীয় কিছু ফেলার শব্দ শুনি। কিছুক্ষণ পর অনুভব করি পেছনের গাছপালা গুলো সব দুমড়ে মুচড়ে পরছে। দাদু এতোক্ষন আস্তে আস্তে দোয়া পড়লেও এবার জোরে পড়া শুরু করলো। একে তো গা ছম-ছমে পরিবেশ। আর আর তার উপরে দাদুর জোরে জোরে দোয়া পড়ার শব্দ শুনে আমরা তিন জনই ভয়ে একজায়গায় হয়ে হাত ধরে হাঁটা শুরু করলাম।

 

দাদু বললো পিছনে তাকিও না তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে সামনের দিকে হাটো। আমরা আর কোনো প্রশ্ন করলাম না। কিছু দূর যেতেই মিমকে দেখি বাড়ির সামনে চালতা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। দাদুর লাইট এর আলো পড়তেই আমি চিনতে পারি এটা মিম আমার বড় চাচার মেয়ে। আমি দৌড়ে গিয়ে মিমকে জড়িয়ে ধরে জিগ্যেস করি, কেমন আছো মিম? মিম আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে যা ছেড়ি! বলেই সে ওখান থেকে চলে যায়। আমি একটু কষ্ট পেলাম। মিম আমার থেকে দুই বছরের বড়। আগে যখন আসতাম ওর সাথেই আমি সারাদিন থাকতাম। সে চার বছরে বদলে যায় কিভাবে। আমার চোখ দিয়ে পানি পরেতে থাকে। দাদু বললো থাক ওর সাথে কথা বলোনা। আমরা সবাই বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম। ঢুকেই দেখি মেজো চাচী আর দাদি আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। মেজো চাচা দিনাজপুর ছোট খাটো ব্যবসা করে।

 

বাড়িতে শুধু বড় চাচা, দাদু, দাদি,মেজো চাচী আর মিম থাকে। মেজো চাচীর কোনো সন্তান নেই। আমার বাবা সবার ছোট। জায়গা জমি সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ায় আমার বাবা কখনো এ বাড়িতে আসে না। সেদিনের মতো আমরা ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করি। আমাদের থাকার জন্য মেজো চাচীর রুম টা দেওয়া হয়। চাচী দাদির সাথে শোয়। আর দাদা বারান্দার চৌকিতে শুয়ে পরে। সেদিন আর মিমকে দেখি নি। পরদিন সকালে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। আমরা তিনজন গ্রামটা ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করি। কিন্তু রাতে মিমের ব্যবহার টা এখনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। মিমের সাথে দেখা করতেই হবে ও কেন এমন ব্যবহার করলো। আমি মিমের রুমে যাই। তাকেও আমেদের সাথে নিয়ে যাবো। কিন্তু ঘরে গিয়ে দেখি মিম নেই। দাদিকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলে দেখ কোথায় না কোথায় আছে। দাদি যেন বিষয় টা একরকম এড়িয়ে গেলো।

 

আমরা কথা না বাড়িয়ে বলি দাদি আমরা গ্রামটা একটু ঘুরে দেখবো। দাদিকে একথা বলতেই দাদি সম্পূর্ণ ভাবে না করে দেয়। আমাদের তিন জনেরই অনেক খারাপ লাগে। নদী বলে সবার ব্যবহার এমন কেন। এই জন্যই হয়তো তোর বাবা আসতে চায়না। বিকেলে দাদি আমাদের জন্য পিঠা বানিয়েছিল। শীতের দিনে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এর মধ্যে খেয়াল করলাম মিম বাগান এর দিক থেকে আসছে। চার বছর আগের মিম আর সেই মিম নেই। সে শুকিয়ে কেমন হয়ে গেছে। এবারও মিম কোনো কথা না বলে সোজা রুমে চলে যায়। মিমের গায়ে অনেক গুলা তাবিজ ঝুলানো। কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান দেয়। দাদু ঘরে নেই। দাদি আর মেজো চাচি ঘরে নামাজ পরেছে। তখনই শুনি মিম রান্না ঘরে বসে কাঁন্না করছে, তাও খুব জোরে হিসকি দিয়ে।

 

আমি দেখার জন্য দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। আর মিমকে জিগ্যেস করি, কি হইছে মিম তোর? মিম আমাকে দেখে অকথ্য ভাষায় গা,লি দিয়ে বলে মা,গি তুই এখানে আইছোস কেন! দাদি নামাজ পড়া শেষ করে দৌড়ে এসে মিমকে জুতা দিয়ে মেরে বলে ঘরে যা। কষ্টে আমি কান্না করে দিই। দাদি বলে কিছু মনে করিসনা দিদিভাই ও পাগল হয়ে গেছে। নদী সুবর্ণা ও আমাকে সান্তনা দিতে থাকে। সুবর্ণা বলে আমি আগেই বলেছিলাম মেয়েটা পাগল। দাদি আরো কিছু বলতে যাবে তখনি মেজো চাচীর চিৎকার শুনতে পাই। সম্ভবত চাচী পুকুরে পরে গেছে। আমরা পুকুরের দিকে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি চাচী পুকুরে তলিয়ে যাচ্ছে। দাদি আর আমরা মিলে কোনো রকমে চাচিকে টেনে তুলি। চাচির খিচুনি শুরু হয়। চাচির হাত পা মুষড়ে যেতে থাকে। ঠোঁট বেকিয়ে যায়।

 

দাদি দোয়া দুরুদ পড়তে থাকে। চিৎকার শোনে আমাদের পাশের বাসা থেকে আমিনা কাকী ছুটে আসে। সুবর্ণা ভয়ে কান্না করে দেয়। এদিকে দাদুর আসার নাম নেই। চাচির জ্ঞান ফিরতে অনেকক্ষণ সময় লাগে। জ্ঞান ফিরতেই আমিনা কাকী জিজ্ঞাস করে, কি হয়েছিলো? মেজো চাচী বলে আমি নামাজ শেষ করে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য বের হইছি। তারপর দেখি আম্মা (মানে আমার দাদি)আমারে ডাকতেছে বলে বৌ আমিনদের বাগানে যে রসের হাঁড়ি পাতছিলাম চলো নিয়ে আসি। আম্মা এখনো তো রস ভরে নাই। আর মাইয়া তিনডারে একলা রাইখা যাওয়া ঠিক হইবে কি! আম্মা আর কোনো কথা না বলে পুকুরের দিকে হাঁটা শুরু করে। আর মিন মিন করে কিসব বলে। একটু পর দেখি আম্মা আর নেই। তখনি একটা কালো বিলোই (বিড়াল) হাইটা পুকরের দিকে যায় বলতে বলতে চাচী কান্না করা দেয়।

 

আমিনা কাকী বলে তোমার বোঝা উচিত ছিল। মেজো চাচী বলে কিছু বুজার আগেই তো ওই জীন আমারে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফালাইয়া দিছে। আমাকে দোয়া পড়ারও সুযোগ দেয় নাই। চাচির মুখে জীন কথাটা শুনে আমরা ভয় পেয়ে যাই। আমরা তো রিতিমতো কান্না শুরু করছি। দাদি বলে থাক বউ থামো এবার আর এখন ঘুমাও। আমিনা কাকীও চলে যায়। দাদু তখনো বাসায় আসে নি। দাদি কে জিজ্ঞাস করলে বলেন ওই তোর দাদু খাদেম হাওলাদার এর বাড়ি গেছে। কি জানি তার বৌয়ের লগে মনসা না কি যেন ধরেছে। তাই একটু যার ফুঁক দিতে গেছে। আমরা রাতে খেয়ে শুয়ে পরি। নদী বলে শোন আমরা আগামীকালই চলে যাবো। দেখলিই তো ভাই আমি এই পরিস্থিতিতে কোন দিন পরি নাই। আজ কালকার যুগেও এইসব হয় নাকি।

 

সুবর্ণা বলে আমি তো আজকে ঘুমোতেই পারবো না। ঘরিতে রাত নয়টার বেশি বাজে। হটাৎ সুবর্ণার ওয়াশরুমের যাওয়ার প্রয়োজন হলে আমাদের দুজনকে ডেকে তোলে। কারণ আমাদের ওয়াশরুমটি ঘর থেকে একটু সামনে। আমরা হাতে টর্চ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই। সুবর্ণা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলে যখনি আমরা ঘরে প্রবেশ করবো, তখনি মিমের কান্নার আওয়াজ শুনি। আমি এবার ঠিক করে নিয়েছি আর যাবো না। কিন্তু সুবর্ণা তাও মিমির ঘরে উঁকি দেয়। আর বলে তুমি সবার সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করো কেন। বলতেই মিম উঠে সুবর্ণাকে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারে তাও আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই। নদী ভয়ে জোরে চিৎকার করে উঠে। দাদি আওয়াজ শুনেই দৌড়ে আসে। আর আমাদের তিন জনকে ঘর থেকে বের করে বাইরে দিয়ে দরজা আটকে দেয়। আমরা তিনজনই তখন ভয়ে কান্না শুরু করি।

 

মিম ঘরের ভেতর থেকে চিৎকার করে বলে তোগো বংশই শেষ কইরা দিমু। দাদি দাদাকে ফোন করে তারাতারি আসতে বলে। কিছুক্ষণ পর দাদা চলে আসে। আমি কিছু না ভেবেই দাদাকে সরাসরি বলে দেই, দাদু কালকেই আমরা বাড়ি ফিরছি। এ সব কি? দাদু আমার কথার উত্তর না দিয়ে মিম এর ঘরে ঢুকে যায়। মিমকে ঝাড়ু দিয়ে পি,টি,য়ে সেন্সলেস করে দেয়। এটা দেখে আমরা ভয়ে আরো জোরে কান্না শুরু করি। দাদু কিছুক্ষন পর অনেক দোয়া দুরুদ পড়ে মিমকে স্বাভাবিক করে। ঘরে আটকে দিয়ে চলে আসে। দাদির কাছে পানি চাইলে দাদি পানি দেয়। তারপর আমরা ঘরে চলে আসি। ঘরিতে তখন রাত এগারোটার মতো বাজে। তখন দাদু আমাদের ঘরে আসে। ঘরের ভেতরে থাকা একটা টুলে বসে জিগ্যেস করে, ভয় পাইসো দাদু?

 

আমি একটু বিরক্তি নিয়ে বললাম এ সব কি দাদু! মিমকে তো আমি আগে এমন দেখি নাই! চার বছর আগের মিম আর এই মিম মানে চিনাই যাই না। দাদু সম্ভবত সবকিছু বলতেই আসছিলো। দাদু বলে দুই মাস আগে তোর বড় চাচী মারা যায়। তুই হয় তো জানিস না কিন্ত তোর বড় চাচির সাথে একটা মনসা ছিল। নদী কথার মাঝখানে জিগ্যেস করে উঠে, এই মনসা টা আবার কি? দাদু বলে মনসা মানে বলতে পারো খারাপ জীন। জীন কথা টা শুনে আমরা তিন জন লেপ গায়ে দিয়ে এক সাথে গুজু হয়ে বসি (ভয়) দাদু বলে তোর বড় চাচি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পরতো। অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখাইছি কাজ হয় নাই। সেই জীন তোর কাকীরে পসন্দ করতো। তাই তার লগ (সঙ্গ) নিয়েছে। তোর কাকীর সাথে অনেক খারাপ করেছে। মনে হয় দাদু বলতে চেয়েছিলো ( ওই জীন হয়তো শারীরিক সম্পর্ক করতো) দাদুর কথায় যা বুঝেছি তোর কাকী দুই মাস আগে মারা যাই।

 

মিম প্রায়ই তোর চাচির কবরের সামনে বইসা কাঁদতো। মনে হয় তখন থেকেই সেই জীন ওরে ধরেছে। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই সেই জীনের আতঙ্ক শুরু হয় মিম এর সাথে। তাকেও অনেক কবিরাজ দেখাইছি। কিন্তু কাজ হয় নাই। তোর বড় চাচা তার তো কোনো খবরই নাই। নেশা কইরা কোথায় পইরা থাকে। ঠিকই আজ কয়দিন হইছে আসছি কিন্তু একবারও বড় চাচাকে দেখি নাই। মিমের শেষ পরিণতিও হয়তো তার মায়ের মতো হবে। কতো চেষ্টা করছি কোন কাজ হয় নাই। নদী বলে আমি বলি কি দাদু তুমি মিমকে নিয়ে আবারো চেষ্টা করো। আমার মনে হয় ও ঠিক হইয়া যাবে। দাদু তোমরা কাল ফিরে যাও তোমাদের বাসে উঠাইয়া দিমু। তোমার বাপে ফোন করেছিলো।

 

আর একদিনও রাখতে চায়না তোমাগো। আমি কৌতূহল বসত জিজ্ঞাস করলাম আর মেজো চাচীর কি হইছিলো তারপর দাদু বললো আমার দাদার আমলে এলাকায় কিছু বদ জীন তাণ্ডব শুরু করছিলো। তাই বেশ কিছু হুজুর মিলে ওদের কে আটকে ঝিলের কাছে বড় বট গাছটিতে আটকে রেখেছিলো। এখন তো আবার ওই ঝিল ও সরকারি। আর সেই বটগাছও কয়েক মাস আগে সরকার কেটে ফেলায় জীন গুলো মুক্ত হয়ে যায়। এলাকায় এখন ওরাই এইসব করতেছে। এলাকার কেউ শান্তিতে নেই তোমাদের চলে যাওয়াই ঠিক হবে। দাদুর কথা শেষ হতেই ভাবছি…ওওও সেই জন্যই দাদি আমাদের ঘুরতে যেতে দেয়নি। পরদিন আর এক মুহুর্ত দেরি না করে আমরা বাসার উদ্দেশ্য সেই এলাকাটি ত্যাগ করি।

 

আমার ঘটনাটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো,তা কমেন্টে জানাবেন কিন্তু। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

 

#ভূতের_গল্প #ভয়ংকর_গল্প #ভূতের_কাহিনী #ভৌতিক_গল্প #ভূতেরগল্প #ভয়ের_গল্প #লেখিকা_নুসরাত_জাহান #ভূত #নুসরাত_জাহান #bgam4 #Horror_story #বাস্তব_ঘটনা

Leave a Comment

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.